আজ : বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপকারভোগীদের প্রাপ্য না দিয়েই চরবরাট বাধের সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তন


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৯:৫৭ অপরাহ্ণ ,২৫ অক্টোবর, ২০১৯ | আপডেট: ৫:০৮ অপরাহ্ণ ,২৬ অক্টোবর, ২০১৯
উপকারভোগীদের প্রাপ্য না দিয়েই চরবরাট বাধের সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তন

নিজস্ব প্রতিনিধি।। স্থানীয় দরিদ্র জনগণকে উপকারভোগী হিসেবে সম্পৃক্ত করে সামাজিক বনায়নের কার্যক্রম হিসাবে আনুমানিক ১৭/১৮ বছর পূর্বে উপকারভোগীদের সাথে নিয়ে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের চরবরাট গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের ঢালে গাছের চারা রোপন করেছিল বনবিভাগ।

উপকারভোগীরা পাবে ৬০% আর বনবিভাগ পাবে ৪০% । এই শর্তে তখন গাছের চারা রোপন করা হয়। এতদিন পর্যন্ত যে গাছগুলো দেখাশুনা করে আসছে স্থানীয়রা। আর এখন উপকারভোগীদের প্রাপ্য অধিকার না দিয়েই টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারকে দিয়ে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বনবিভাগের বিরুদ্ধে।
ঠিকাদারের শ্রমিক কতৃক ওই সকল সরকারী গাছ কেটে নচিমন ও ভ্যানযোগে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রাপ্য অধিকারের দাবিতে সংকুচিত ও ভিত অবস্থায় গাছ বাধা দিয়ে আটকে রেখে ইউপি চেয়ারম্যান ও জনতার মেইল-কে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট (কিমিটি) স্থানীয়রা।

শুধু তাই নয়, ১৬/১৭ বছর পূর্বে ওই সকল গাছের চারা রোপনকালীন ৮ সদস্যের একটি কমিটি করে সরকারীভাবে ট্রেনিং প্রদান করা হয়েছিল উপকারভোগীদের। গত ৭/৮ বছর আগে রোপনকৃত ওই সকল গাছের ডাল-পালা ভেঙ্গে গেলে সেগুলো বিক্রি করে সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী চরবরাট গ্রামের (কমিটির) উপকারভোগীদের ৬০ ভাগ প্রাপ্য অর্থ প্রদান করেছিল বনবিভাগ। চারা রোপনের সময় থেকে এতদিন পর্যন্ত যে কমিটি গাছগুলো দেখাশুনা করে আসছে। আজ তাদেরকে অবগত না করেই টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারকে দিয়ে ওই সকল গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বনবিভাগ। আরেকদিকে, পুরাতন ওই কমিটির সদস্যদের নাম পরিবর্তন করে কোথাকার দুরদুরান্তের মানুষদের কমিটির সদস্য বানানোর প্রতারনার অভিযোগও উঠেছে বনবিভাগের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে, সংশ্লিষ্ট উপকারভোগী কমিটির এক সদস্য শাহিরুল ইসলাম লেলিন ‘জনতার মেইল’কে বলেন- এই রাস্তা যখন হয়, তখন আমাদের জায়গা সরকার দলিল করে নিয়ে গাছ লাগায়, তখন আমাদের ট্রেনিংও করায়। সেই থেকে আমরা দেখা শুনা করি। এই গাছ (কাটার) বিক্রির সময় আমাদের ৬০℅ দেওয়ার কথা। এখন গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে, কিন্ত এখন আমাদের প্রাপ্য দিচ্ছে না। সে করনে আমি/আমরা গাছ নিতে বাঁধা দিয়েছি। এখানে চেয়ারম্যান আসুক, সরকারী লোকজন আসুক, তারা দেখুক। আমরা কোন অন্যায় করেছি কি-না? অংশিদার হিসাবে অধিকারের জায়গা থেকে আমরা গাছের যে ভাগ পাই সেটা দিয়েই হোক, আর না দিয়ে আমাদের ঠকিয়েই হোক, তবুও সরকারী লোকজন এসে দেখেশুনে গাছগুলো নিয়ে যাক। প্রায় ৬/৭ বছর আগে ঝড়ে একবার এই গাছগুলোর ডাল ভাঙছিল, সেগুলো বিক্রি করে তখন হিসাব অনুযায়ী বনবিভাগ আমাদের টাকা দিয়েছিল। আর এখন টেন্ডার হলো, গাছ কাটলো, আমরা কেন জানলামনা ? গাছ কাটুক আমরা বাঁধা দেবনা,। সরকারের কাছে দাবি আমাদের প্রাপ্য অধিকার বুঝিয়ে দিয়ে গাছ নিয়ে যাক।

Comments

comments