ডেস্ক নিউজ।। যে সমস্ত অভিযোগ থাকলে অনুপ্রবেশকারীদের আওয়ামী লীগ থেকে বিতাড়িত করা হবে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:-
১. যাদের মধ্যে সুর্নির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। যারা অর্থ আত্মসাৎ করা বা দুর্নীতি করে ফুলেফেঁপে উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ।
২. আওয়ামী লীগের অনেক অনুপ্রবেশকারীর বিরুদ্ধেই সুর্নির্দিষ্ট অভিযোগে থানায় মামলা রয়েছে। এই সমস্ত মামলার অধীনে রয়েছে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এবং মাদকের মামলা। যাদের বিরুদ্ধে এসব মামলা থাকবে, সেসব মামলার চার্জশিট হয়ে গেলেই তাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে।
৩. টেন্ডারবাণিজ্য যারা করছে, তাদের দল থেকে বের করা হবে। কারণ তারা দলের নাম ব্যবহার করে, দলের প্রভাব খাটিয়েই তারা এই টেন্ডারবাণিজ্য করছেন।
৪. জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারীরা দলের বিপক্ষে কাজ করেছে, দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করেছে- তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৫. সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ, নিয়োগবাণিজ্য যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যদি সুর্নির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দুজন যুগ্ম সম্পাদক দিল্লি যাওয়ার আগেরদিন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে প্রধানমন্ত্রী তাদের বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা আমার কাছে। আওয়ামী লীগে কারা কারা অনু্প্রবেশ করেছিল, সেই তথ্য আমার কাছে রয়েছে।
জানা গেছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব টিম এই অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা তেরি করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া সেই তালিকাটিই বিভিন্ন মাধ্যমে যাচাইবাছাই করে দেখেছেন, সেই তালিকাটি সঠিক হয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে সব অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। শুধুমাত্র যারা ৫ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেই এ পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ২০০৯ সালের পর থেকে যারা আওয়ামী লীগে ঢুকেছে, তাদেরকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। তাদের মধ্যে কারো বিরুদ্ধে সুর্নির্দিষ্ট ৫টি অভিযোগের একটিও পাওয়া গেলে তাকে দল থেকে বহিস্কৃত করা হবে।
জানা গেছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের সভায় এসব অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা প্রণয়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু দলের সাংগঠনিক সম্পাদকেরা তৃণমূল থেকে এই ব্যাপারে তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। সেই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব টিম মাঠে কাজ করেছে, বিভিন্ন অভিযোগ যাচাই বাছাই করেছে এবং অনুপ্রবেশকারীদের তথ্যাদি সংগ্রহ করে প্রায় ১৫০০ অনুপ্রবেশকারীর তালিকা চিহ্নিত করেছে বলে জানাগেছে। তারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, তারা দলের পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্মে নিজেদের জড়াচ্ছে।
শেখ হাসিনা গতকাল সুর্নির্দিষ্টভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, দলের ক্ষতি এবং বিনষ্ট করছে এমন কোনো অনুপ্রবেশকারীকেই দলে রাখা হবে না। তাদের যেকোনো মূল্যে দল থেকে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লী থেকে ফিরেই এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুধু করবে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই দলের ভেতরে ক্ষতিকারক হাইব্রিড নেতাদের দল থেকে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।