আজ : বৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে ভূয়া ডিবি পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ ,২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | আপডেট: ১১:০৭ অপরাহ্ণ ,২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
রাজবাড়ীতে ভূয়া ডিবি পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার।। ডিবি পুলিশের পরিচয় প্রদানকারী দুই প্রতারকে আটক করেছে পাংশা মডেল থানা পুলিশ।

২৮ সেপ্টেম্বর-১৯ শনিবার রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার শরিসা ইউনিয়নের বৃত্তিডাঙ্গা বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

জানা গেছে ওই ২ প্রতারক জেলার কালুখালী উপজেলার শাওরাইল ইউপির ভিটি গ্রামের সাদেকুর রহমানের ছেলে আলতাফ মাহমুদ ও একই গ্রামের লিয়াকত আলী খানের ছেলে বিল্লাল খান।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার ওই দুই প্রতারক বৃত্তিডাঙ্গা বাজার এলাকায় গিয়ে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছিল। এসময় স্থানীয়রা তাদের কথা বার্তায় অসংলগ্ন পেয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে,পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পাংশা মডেল থানা পুলিশ।

অপরদিকে,দ্বিতীয় অভিযানে ৬৫ বোতল ফেনসিডিলসহ মোখলেছ নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার খারালা গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে।

                  হ্যান্ডকাপসহ পোষাক পরিহিত ডিবি পুলিশের বেশে অভিনব স্টাইলে প্রকাশ্যে দিবালোকে মাইক্রোবাসযোগে ১লাখ ৩০ হাজার টাকা ছিনতােইয়ের ঘটনার খবর জানা গেছে। তবে এরা ভূয়া ডিবি পুলিশ।

বিস্তারিত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর-১৯ রবিবার দিন আনুমানিক বেলা সারে ৩.টার দিকে  গোয়ালন্দ মোড় শাখার অগ্রনী ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা তুলে নিয়ে মাহেন্দ্র পরিবহনযোগে বাড়িতে আসার পথে গোযালন্দ মোড় ও খানখানাপুর রেলগেটের মাজখানে “নারাপচা ব্রীজ” পৌছালে, এ সময় পেছনের (গোয়ালন্দ মোড়ের) দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস চলন্ত মাহেন্দ্রর সামনে এসে দাঁড়িয়ে মাহেন্দ্রটির গতিরোধ করে। এরপর মাইক্রোবাস থেকে পোষাক পরিহিত ৪/৫ জন ডিবি পুলিশ হ্যান্ডকাপ নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে এসে তারা বলে মাহেন্দ্রর মধ্যে আসামী আছে,এ কথা বলে সকল যাত্রীকে মাহেন্দ্রর থেকে নামিয়ে নিয়ে আসে। এরপর ব্যাংক থেকে টাকা তুলে আনা ব্যাক্তি আব্দুল খালেক কে হাতকড়া পড়িয়ে থাপর-চাপর মেরে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। কেউ বুঝে ওঠার আগেই সবাই তাকে আসামী ভাবে।

এরপর,গাড়িতে তুলে নিয়ে  আব্দুল খালেক কে চোখ বেঁধে ফেলে ও হাতকড়া খুলে দেয়,তাকে মারধর করে ধমকায় ও পরিবারে সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়। ততখনে, আব্দুল খালেক বিষয়টি আচ করতে পারে হয়তবা অভিনব ছিনতাইকারী। কিছু দুরে যাওয়ার পর মাইক্রোবাসে মধ্যেই আব্দুল খালেকের নাকের কাছে স্প্রে করে। স্প্রে করার সময় সে নিশ্বাস বন্ধ করে থাকে। পরে,তার ব্যাংক থেকে তুলে আনা সমস্ত (১ লাখ ৩০ হাজার) টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়ে গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মাইক্রোবাসটি চলে যায়। তারপর সে চোখ খুলে জায়গাটি চিনতে না পেরে একজন পথচারি মহিলার থেকে জানতে পারে এটা কল্যানপুর। এরপর সেখান থেকে সে গোয়ালন্দ মোড়ে আসে, তারপর সেখান থেকে সে বাড়িতে আসে। এ ঘটনায় সে কোন মামলা বা জিডি করেন নাই। ঘটনাটি এভাবে বর্ননা করেন- রাজবাড়ী জেলা সদরের খানখানাপুর ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্রামের মোঃ আঃ খালেক এর স্ত্রী।

আপনার স্বামী কেন পুলিশকে জানালেন না এবং সে এত টাকা কোথায় পেল ? প্রতিবেদকের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- পরিবারে সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়ার ভয়ে পুলিশতো দুরের কথা,কাউকে জানাইনি। খানখানাপুর সুরাজ মহিনী ইনস্টিটিউট স্কুলে কেরানি পোষ্টে চাকরী করতেন, ৫ বছর আগে তিনি অবসরে যান, এ টাকা পেনশনের টাকা।

Comments

comments