স্টাফ রিপোর্টার।। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শুধু যুবলীগ বা ছাত্রলীগের প্রশ্ন নয়, আওয়ামী লীগেরও যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করবে তাদের সবারই একই পরিণতি ভোগ করতে হবে। এসব অপকর্মে প্রশাসন বা রাজনীতির কেউ যদি মদদ দিয়ে থাকে তাহলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো গডফাদারই ছাড় পাবে না।
২০ সেপ্টেম্বর-১৯ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা খুশি। দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে যে শুদ্ধি অভিযান চলছে এই অ্যাকশনের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে গেছে। এর ফলে সরকার ও আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে যে শুদ্ধি অভিযান, এটা সারাদেশেই ছড়িয়ে যাবে। দেশের যেখানে দুর্নীতি বা অনিয়ম হবে সেখানেই চলবে। শুধু যুবলীগ বা ছাত্রলীগের প্রশ্ন নয়, আওয়ামী লীগেরও যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করবে তাদের সবারই একই পরিণতি ভোগ করতে হবে। এসব অপকর্মে প্রশাসন বা রাজনীতির কেউ যদি মদদ দিয়ে থাকে তাহলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো গডফাদারই ছাড় পাবে না।
তিনি আরো বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপকর্মের বিরুদ্ধে, অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন। এখানে ঢালাওভাবে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নয়, আওয়ামী লীগেরও কেউ যদি অপকর্ম করে, তিনি সেটারও খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। দুর্নীতি, অপকর্ম, শৃঙ্খলাভঙ্গ- এসবের জন্য অনেকেই নজরদারিতে রয়েছে। সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুটিকয়েক মানুষের জন্য গোটা পার্টি তো বদনামের ভাগিদার হবে না। কোনো গডফাদারেরই রেহাই পাওয়ার কারণ নেই। যেই হোক, তার পরিচয় গডফাদার হলেও রেহাই নেই। কেউ মদদ দিয়ে থাকলে কিংবা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলে, পুলিশের মধ্যেও যদি কেউ এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা রাজধানীকেন্দ্রিক সেটা ঠিক নয়, সারাদেশে যেখানেই অপকর্ম, দুর্নীতি, অনিয়ম হবে, শৃঙ্খলাভঙ্গ হবে সবখানেই একই নিয়মে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কার্যকর হবে। এখন যুবলীগ-ছাত্রলীগ বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। ছাত্রলীগের দু’জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ক্যাসিনোকেন্দ্রিক যে অভিযান, এটা ঢালাওভাবে ছাত্রলীগ আর যুবলীগের বিরুদ্ধে নয়। ছাত্রলীগ-যুবলীগে বহু ত্যাগী নেতাকর্মী রয়েছে, তারা অনেক ভালো কাজও করছে। এখানে দুর্নীতি, অনিময়, বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যারা জড়িত, যাদের আচরণে পার্টি এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, ঠিক তাদের বিরুদ্ধেই কেস টু কেস খোঁজ-খবর নিয়ে অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে, আগেও নেওয়া হয়েছে।
ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহর বানানো হয়েছে-বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, অতীতে বিএনপির মতো বড় দল ক্ষমতায় ছিলো। তারা তাদের দলের কোনো অপকর্ম, লুটপাট, দুর্নীতি, খুন এসব নিয়ে কোনো অ্যাকশনে যায়নি। ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহর বানিয়েছে বিএনপি। তাদের সময় এই ক্যাসিনোগুলো ছিলো। সেই ক্যাসিনোর ব্যাপারে অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে। সরকারের প্রথম বছরেই কিন্তু অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে। প্রথম আট-নয় মাসেই এসব ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। এমন তো নয় যে, ইলেকশনকে সামনে রেখে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিএনপির সময়ও তো এই ক্যাসিনোগুলো ছিলো।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।