উজ্জ্বল চক্রবর্ত্তী।। ‘বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, ‘এবার ধরা পড়ে গেছ ওরে সোনার চাঁন।, ধান খাওয়া ওই ঘুঘুটি আটক হয় রাজবাড়ী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলামের কৌশলীক পাতা ফাঁদে।
ঘুঘু সে তো ঘুঘু নয়, আসলে সে- বিকাশের মাধ্যমে মানুষকে ধোকা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের এক সদস্য, নাম তার সাদ্দাম হুসাইন (২২)। ১০ সেপ্টেম্বর-১৯ মঙ্গলবার রাত ৯.টার দিকে বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়ার জঙ্গল বাজার থেকে তাকে আটক করেছে রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ ১০,২০০/-টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত সাদ্দাম- ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন গ্রামের মৃত সাহেদ মিয়ার ছেলে। তার মাসে আয় প্রায় ৮০ হাজার টাকা।
সাদ্দাম হুসাইন জানান, তারা কয়েকজন মিলে এই প্রতারণা করতেন। দুই বছর ধরে এ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। তিনি মাঠ পর্যায়ের কর্মী, প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা আয় করেন। যাদের নির্দেশে কাজ করেন তাদের মাসে আয় লাখ লাখ টাকা। এ কাজে তাদের এলাকার প্রায় ৯০ ভাগ যুবক জড়িত।
প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে সাদ্দাম বলেন- প্রথমে তারা বিকাশের দোকান থেকে ক্যাশ আউটের নম্বর সংগ্রহ করেন। পরে ফোন দিয়ে দিনে চার-পাঁচজন গ্রাহককে বলতেন, ‘আপনার নম্বরে ভুলে টাকা গেছে। এভাবে শুরু!
রাজবাড়ী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, বিকাশ প্রতারক চক্র সদর উপজেলার বরাটের এলাকার আমিরুল ইসলামের ৭৭ হাজার ৪৪৩ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে- এমন মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকার বিকাশ হেল্প সেন্টারে যোগাযোগ করে জানতে পারেন ওই টাকা চট্টগ্রাম ও ঝিনাইদহের দুটি নম্বরে ক্যাশআউট করা হয়েছে। পরে এসব স্থানে খোঁজ নিয়ে তার নেতৃত্বে পুলিশ মঙ্গলবার রাত ৯.টার দিকে রাজবাড়ী বালিয়াকান্দির নারুয়ার জঙ্গল বাজারে অভিযান চালিয়ে সাদ্দাম হুসাইন নামে বিকাশ প্রতারক চক্রের একজনকে ১০ হাজার ২০০ টাকাসহ আটক করে। তার বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।