আজ : বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ধীরগতি,অপেক্ষায় শতশত যান দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ ,১৯ জুলাই, ২০১৯ | আপডেট: ৪:০৪ অপরাহ্ণ ,২২ জুলাই, ২০১৯
তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ধীরগতি,অপেক্ষায় শতশত যান দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে

উজ্জ্বল চক্রবর্ত্তী-স্টাফ রিপোর্টার।। রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট  দক্ষিাণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার  ফেরিঘাট এলাকায়। প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন পারাপার হয় এই ঘাট দিয়ে। পদ্মায় তিব্র স্রোতের কারনে ফেরি চলাচল বিঘ্ন ঘটায় ঘাট পারের জন্য অপেক্ষা করছে শত শত যাত্রীবাহী বাস, পন্যবাহী ট্রাক ও কাভার্টভ্যান। যাত্রীবাহী বাসগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা করে। আর পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ২/৩দিন পর্যন্ত। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী সাধারণসহ নদী পারের অপেক্ষায় থাকা বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও শ্রমিকরা।

কবে নাগাদ এই ভোগান্তি থেকে রেহাই মিলবে, তা বলতে পারছে না ঘাট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীতে তীব্র স্রোত রয়েছে। আর স্রোতের অতিরিক্ত বেগের কারণে ফেরিগুলো চলতে পারছে না। ফলে সহসাই এ ভোগান্তি থেকে মিলছে না মুক্তি।

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার বিভিন্ন শ্রেণির যানবাহন চলাচল করে। আর এ সকল যানবাহন পারাপারের জন্য এই নৌরুটে রয়েছে ২০টি ফেরি। কিন্তু ফেরিগুলো অনেক পুরাতন হওয়ায় ইঞ্জিনগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। এতে বেশির ভাগ সময়ই কম সংখ্যক ফেরি চলাচল করে।

এছাড়া নদীতে স্রোতের বেগ বেড়ে গেলেই ফেরি আর চলতে পারে না। স্বাভাবিক সময়ের থেকে দ্বিগুণ সময় লাগছে নদী পার হতে। ফলে ফেরিগুলোর ট্রিপ কমে যাচ্ছে। তবে ঈদের সময় ২০টি ফেরিই চলাচল করে।

১৯শে জুলাই-১৯ শুক্রবার দুপুরে দৌলতদিয়া ঘাটের সরেজমিনে দেখা যায়, নদী পারাপারের জন্য দৌলতদিয়া টার্মিনালে অপেক্ষা করছে প্রায় দেড় থেকে দুইশত পণ্যবাহী ট্রাক। আর দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ বাজার ছাড়িয়ে গেছে যানবাহনের লাইন। প্রায় ৬ কিলোমিটার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এখন নদী পারাপারে জন্য অপেক্ষা করছে প্রায় ৭-৮ শত যানবাহন। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস রয়েছে প্রায় শতাধিক।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি  বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই নদী পারের জন্য ঘাট এলাকায় লম্বা সময় ধরে অপেক্ষা করছে যানবাহন। কিন্তু আমরা কি করব? নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে ফেরিগুলো স্বাভাবিকভাবে চলতে পারছে না। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) তীব্র স্রোতের কারণে ইঞ্জিনে অতিরিক্ত চাপ পড়ায় বেশ কয়েকটি ফেরিতে আগুন ধরে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো আপ্রাণ চেষ্টা করছি যাতে ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহন চালক-শ্রমিকদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে না হয়। কিন্তু প্রকৃতির কছে আমরা অসহায়।’

দৌলতদিয়া ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবুল হোসেন  বলেন, ‘প্রবল স্রোতের কারণে ফেরিগুলোর নদী পার হতে বেশি সময় লাগায় ঘাটে যানবাহনের চাপ লেগেই আছে। তবে যাত্রীদের যাতে কোনো ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সে বিষয়টি বিবেচনা করে আমারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাসগুলোকে আগে নদী পার করছি।’

Comments

comments