বিকাশ প্রতারক চক্রের ২ সদস্যকে আটক করেছে ফরিদপুর Rab
প্রকাশিত: ২:৫৩ অপরাহ্ণ ,১৭ জুলাই, ২০১৯ | আপডেট: ৮:৫৭ অপরাহ্ণ ,২১ জুলাই, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার।। বিকাশ প্রতারক চক্রের ২ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল। এ সময় আটককৃত প্রতারক চক্রের সদস্যদের হেফাজত হতে বিকাশ প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ৬টি মোবাইল সেট ও ৮টি সীমকার্ড জব্দ করা হয়।
উক্ত ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগের নেতৃত্বে- ১৬ই জুলাই-১৯ মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে (১৭ জুলাই) ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার জাংগালপাশা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত প্রতারকরা হলো- ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার জাংগালপাশা গ্রামের মোঃ এনায়েত মিয়ার ছেলে মোঃ হৃদয় মিয়া (১৮)ও মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার চর দত্তপাড়া গ্রামের মোঃ ইস্কান বেপারীর ছেলে মোঃ আরমান বেপারী (১৬)।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যদ্বয় বিভিন্ন দুর্নীতিপরায়ণ মোবাইল সীম বিক্রেতার সাথে পরস্পর যোগসাজস করে ভূয়া নামে সীম কার্ড রেজিস্ট্রেশন ও উক্ত সীমকার্ড ব্যবহার করে অসাধু ডিএসআর (বিকাশ এ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত এ্যজেন্ট) গণের মাধ্যমে ভূয়া বিকাশ এ্যাকাউন্ট খোলে। প্রতারক চক্রের সদস্যদ্বয় দুর্নীতিপরায়ণ ডিএসআর গণের নিকট থেকে অর্থের বিনিময়ে বিকাশ এ্যজেন্টদের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে ঐসব ভূয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত মোবাইল সীমকার্ড ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল সাধারণ জনগনের নিকট নিজেদেরকে বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করে কৌশলে তাদের বিকাশ পিন কোড জেনে নেয় এবং স্মার্ট ফোনে বিকাশ এ্যাপস্ ব্যবহার করে উক্ত সাধারণ লোকজনের বিকাশ এ্যাকাউন্ট হতে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।
এভাবে- ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানাধীন জাংগালপাশা গ্রাম এলাকায় কিছু ব্যক্তি বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের নিকট হতে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন গোপন সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গভীর অনুসন্ধান করে। ঘটনা সত্যতা সম্পর্কে তথ্য প্রাপ্তির পর তাদেরকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তিদ্বয়, বিকাশ প্রতারনার মাধ্যমে জনসাধারনের নিকট হতে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্বীকার করে।
আটককৃত ব্যক্তিদ্বয়ের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলমান আছে।