আজ : বৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ী জেলায় ক্র্যাচ (scratch) প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণ শুরু


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৮:১৭ অপরাহ্ণ ,১৫ জুন, ২০১৯ | আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ণ ,১৬ জুন, ২০১৯
রাজবাড়ী জেলায় ক্র্যাচ (scratch) প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণ শুরু

জনতার মেইল।। শিশু প্রোগ্রামার তৈরির লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ইয়াং বাংলার আয়োজনে জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০১৯ এ অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ী জেলাতেও শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী ক্র্যাচ (scratch) প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণ কর্মশালা। জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য়—৫ম শ্রেনীর ১৩১ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করে।
‌’অবাক হচ্ছে বিশ্ব এবার’ বাংলার শিশুরা প্রোগ্রামার’ এই শ্লোগান নিয়ে ১৫ই জুন শনিবার রাজবাড়ী জেলা শহরের ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয় এবং বালিয়াকান্দি উপজেলার বালিয়াকান্দি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও রামদিয়া বিএমবিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতায়- ও উক্ত কার্যালয়ের আইসিটি শাখার সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান আরিফের নেতৃত্বে এবং ইয়াং বাংলা, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রমিং প্রতিযোগিতার জেলা সমন্বয়কের তত্বাবধানে- এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী প্রোগ্রামার মোঃ আব্দুল করিম, আইসিটি শিক্ষক মৃদুল বিশ্বাস, রাজিয়া বেগম, মোঃ রাশেল খান, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব কো-অডিনেটর জামাদুল আওয়াল ( কাওসার) ও উজ্জল চক্রবর্ত্তী।

এব্যাপারে- ইয়াং বাংলা, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রমিং প্রতিযোগিতার জেলা সমন্বয়ক এস.এম. রিয়াজুল করিম জনতার মেইলকে জানান- ছোট থেকেই শিশুদের প্রোগ্রামিং বিষয়ে ধারণা দিতে আইসিটি ডিভিশন জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এই প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে জেলার ৩টি ল্যাবে ১৩১ জন শিক্ষার্থী ক্র্যাচ (scratch) প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছে। আগামী কালও যথারীতি এ প্রশিক্ষণ চলবে।
তিনি আরো বলেন, (১) তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ক্র্যাচ প্রোগামিং, (২) ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পাইথন (জুনিয়ার) এবং (৩) অষ্টম শ্রেনী হতে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা পাইথন (সিনিয়র), এই ৩টি ক্যাটাগড়িতে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। ক্র্যাচ প্রোগামিংয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা ১৫-১৬ জুন ও পাইথন প্রোগামিংয়ে ১৮-১৯ জুন প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ক্র্যাচ প্রোগামিংয়ে ১৭ জুন আর পাইথন প্রোগামিংয়ে ২০ জুন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
রাজবাড়ী জেলা থেকে জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রামীং প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহনের সুযোগ পাবে ক্র্যাচ ৩জন পাইথন (জুনিয়ার) ৩জন, পাইথন (সিনিয়র) ৩জন মোট ৯ জন শিক্ষার্থী।
জেলা পর্যায়ে বিজয়ীদের নিয়ে জাতীয় ক্যাম্প ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে সাভার শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে। প্রতি জেলা থেকে বিজয়ী স্ক্র্যাচ টিম এবং বিজয়ী পাইথন প্রতিযোগীরা জাতীয় ক্যাম্পে যোগ দিয়ে ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে। সেখান থেকে বাছাই করা হবে সেরা টিম। সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ও ইয়াং বাংলার আয়োজনে এর আগে গত ২২ ও ২৩ মে, রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে দু’দিনের কর্মশালায় দেশের ৬৪ জেলার ৪০০ জন শিক্ষক, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ২০০ জন ল্যাব কো-অরর্ডিনেটরসহ মোট ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান হয়।

Comments

comments