জেলা হাসপাতালেই হবে সকল রোগের চিকিৎসা; প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: ৮:৫৭ অপরাহ্ণ ,১৬ এপ্রিল, ২০১৯ | আপডেট: ৯:২৯ অপরাহ্ণ ,১৯ এপ্রিল, ২০১৯
ডেস্ক নিউজ।। সকল জটিল রোগের চিকিৎসা যেন দেশের প্রত্যেকটি জেলা হাসপাতালে করা যেতে পারে তার ব্যবস্থা নিচ্ছি’। আমরা শুধু রাজধানী কেন্দ্রিক না, গোটা বাংলাদেশব্যাপী চিকিৎসার ব্যবস্থা নিচ্ছি ’বলে জানিয়েছেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ইদানিং কিছু কিছু রোগের প্রাদুর্ভাব একটু বেশী মাত্রায় দেখতে পাচ্ছি। সেজন্য ওই রোগগুলোর চিকিৎসা যেন দেশের প্রত্যেকটি জেলা হাসপাতালে করা যেতে পারে তার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ এক্ষেত্রে কিডনি, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ, অগ্নি দুর্ঘটনায় পুড়ে যাওয়া রোগের ঘটনা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
১৬ এপ্রিল-১৯ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ ও জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন করেন এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সংগৃহীত সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও জিপগাড়ির চাবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকে আরও স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। কারণ প্রায় দেখা যায় যে, কারও হার্ট ডিজিস হচ্ছে, হঠাৎ স্ট্রোক হচ্ছে বা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ দেখা দিচ্ছে। তাই, খাওয়া-দাওয়া চলাফেরার দিকে আরও সচেতন হওয়া দরকার। সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা শুধু রাজধানী কেন্দ্রিক না, আমরা গোটা বাংলাদেশব্যাপী চিকিৎসার ব্যবস্থা নিচ্ছি ’।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার চিকিৎসা সেবা ও স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয় দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। অনলাইনে চিকিৎসা সেবা দিতে পাচ্ছি। আমরা স্বাস্থ্য তথ্য বাতায়ন সৃষ্টি করেছি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতিটি উপজেলায় চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে, ওয়েব ক্যামেরার মাধ্যমে বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা ঘরে বসে যাতে পেতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কথা উল্লেখ করে এ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অনলাইন সেবা ভবিষ্যতে আরও ভালভাবে দিতে পারব বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিবন্ধীদের বিশেষ ভাতা দেওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অটিজম ও নিউরো ডেভলপমেন্ট ডিজঅর্ডার বা প্রতিবন্ধী সন্তান যাদের আছে তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। বিশেষ ভাতা দিচ্ছি। আগামীতে এটা আরও বাড়াবো। সেনশাস (আদমশুমারি) রিপোর্টটা এলে আমরা সঠিক সংখ্যাটাও জানতে পারব। কারণ সেনশাস রিপোর্টে যাতে প্রতিবন্ধীদের সঠিক সত্য আসে, সেটাও আমরা ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, একটা শিশু জন্মের পর থেকে অটিজমের কোনও সিমট্রোম আছে কি না সেটা যেন ধরতে পারে, জানতে পারে তা বাবা-মার খেয়াল করা উচিত। বিষয়গুলো সম্পর্কে যাতে অভিভাবক শুরুতেই সচেতন হতে পারে আর সাথে সাথে যেন চিকিৎসা সেবাটা দেওয়া যেতে পারে, এই ব্যাপারেও আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি।
অটিজম বিষয়ে এখন যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে, সায়মা এ ব্যাপারে যথেষ্ট অবদান রেখেছে। এই অবদান শুধু বাংলাদেশে না, আন্তর্জাতিকভাবে তার অবদানের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ‘স্বাস্থ্য সেবার অধিকার শেখ হাসিনার অঙ্গীকার’ শীর্ষক স্লোগানে এবার ১৬ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ পালিত হবে।