নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই রাজবাড়ীর ধর্মশী খালের ব্রীজে ফাটল
প্রকাশিত: ৮:৫৬ অপরাহ্ণ ,১৪ এপ্রিল, ২০১৯ | আপডেট: ১০:০৩ অপরাহ্ণ ,১৬ এপ্রিল, ২০১৯
আলমাস আলী-রাজবাড়ী ॥ নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই রাজবাড়ী সদর উপজেলার সুলতানপুর ধর্মশী খালের নির্মাণাধীন ব্রীজটি ফাটল দেখা দিয়েছে।
দুযোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অর্থায়নে ৪০ফুট দৈর্ঘের এ ব্রীজটি নির্মিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে নিকাল মোল্যা, রুবেল মোল্যা, রাসেল মোল্যা রুবেল খাঁন, রাজ্জাক মোল্যা, মোস্তফা মোল্যসহ প্রমূখ।
জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের উদ্যোগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৭ টাকা ব্যয়ে ধর্মশী খালের ওপর এ ব্রীজটি নির্মাণের জন্য মোফাজ্জেল এন্টাপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রতিষ্টানটির স্বত্বাধিকারী মোফাজ্জেল হোসেন মিঠুর পরিবর্তে সাব-কন্ট্রাকটার লুৎফর রহমান নামক একব্যাক্তি কাজটি করছেন। সম্প্রতি ব্রীজ ঢালাই সম্পন্ন করেছেন।
এটি এখনো মানুষের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া না হলেও কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। একাধিক স্থানে রড বের হয়ে আছে। ব্রীজের রেলিং এর উপর হাত রাখলেই ঢালাই খুলে পড়ছে। ফাটলের বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসলে এলাকায় আলোচনার ঝড় উঠে। স্থানীয় সাবেক মেম্বর জলিল মোল্যাকে এলাকাবাসী বিষয়টি অবগত করান। ব্রীজটি ফাটল এবং রেলিংয়ে খুলে পড়াস্থান গুলো ঠিকাদার সিমেন্ট গুলিয়ে ঢাকার চেষ্টা করেছেন। ফাটলের নীচের দিকে মাটি দিয়ে ফাটল স্থানগুলো নজর এড়ানোর কৌশল চলছে। নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারনেই এ ঘটনা ঘটেছে।
১২ই এপ্রিল-১৯ শুক্রবার সরেজমিনে গেলে প্রত্যক্ষদর্শীরা এ প্রতিবেদককে জানায়, মাটির লেভেল থেকে ১৬ ফুট মাটির নিচে ভিত্তি বেইজ করার নিয়ম থাকলেও ঠিকাদার মাত্র ০৮ ফুট মাটির নিচ থেকে বেইজ করেছে। ১৪ মিলি রড ব্যবহারের কথা থাকলেও ১০মিলি রড ব্যবহার করেছেন। এই জন্য ব্রীজটি নাজুক হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এটি ধসে পড়ার আশংকা রয়েছে। এলাকাবাসী বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার জানান, ব্রীজের পাশে মাটি ভরাট করার ফলে সামন্য ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে আতংক হবার কিছু নেই। কাজ ভালো হয়েছে, যেটুকু ফাটল দেখা দিয়েছে, সেটা প্রত্যেকটি ব্রীজের কাজেই হয়ে থাকে, তবে ফাটল মেরামত করে দিব।
প্রকল্প ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কুমার প্রমানিক ব্রীজ নির্মানের ডালাইয়ের অনিয়ম অস্বিকার করেন।
প্রকল্প কর্মকর্তা এস এম মনোয়ার মাহমুদ যথাসমায়ে অফিসে থাকেন না বিধায় তারমন্তব্য নেওয়া সম্ভাব হয়নী।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল রাজ্জাক মিয়া বলেন, ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্রীজটি পরিদর্শন করেছেন, ঠিকাদারকে বিল প্রদান করা হয়নী, তবে ঠিকাদার ব্রীজের ফাটল ঠিক করে দিবেন বলে জানিয়েছেন।