মেয়েকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রি করতেই বাবা ধরা, এ কেমন বাবা?
প্রকাশিত: ৭:০৮ অপরাহ্ণ ,১৭ মার্চ, ২০১৯ | আপডেট: ১০:২৩ অপরাহ্ণ ,১৮ মার্চ, ২০১৯
গোয়ালন্দ সংবাদদাতা।। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে ১৩ বছর বয়সী নিজের কন্যা সন্তানকে বিক্রির সময় বাবা এরশাদ আলী (৩৫) কে আটক করেছে পুলিশ।ঘটনার সাথে জড়িত শিল্লী (৩৫) নামে এক যৌনকর্মীকেও আটক করেছে পুলিশ।উদ্ধার হওয়া কিশোরী বলে, আব্বু ভুল করেছে, আব্বুকে ভালো হওয়ার জন্য একবার সুযোগ দেন স্যার।
১৬ই মার্চ-১৯ শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ৯.টার দিকে তাদের আটক করা হয় এবং রোববার দুপুরে এ ঘটনায়, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের এসআই ওলিয়ার রহমান বাদী হয়ে মানবপাচার আইনে আটকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।
আটক এরশাদ আলী নওগাঁর মান্দা উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের আজগর সোনার ছেলে ও যৌনকর্মী শিল্পী নীলফমারীর ডোমার উপজেলার পাংগা চৌপটি গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।
উদ্ধার হওয়া কিশোরী জানায়, অনেক আগেই তার বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। বাবা ও মা দু’জনই আবার বিয়ে করে সংসার শুরু করেছেন। সে কখনও দাদির কাছে, কখনও ফুপুর কাছে, আবার কখনও মায়ের কাছে থাকতো। এ পরিস্থিতিতে তার বাবা তাকে বলেন, তোমার খাওয়ার খরচ দিয়ে আমি তোমাকে ঢাকায় ভালো একটি জায়গায় রেখে দেব, সেখানে তুমি ভালো থাকবে। বাবার কথায় রাজি হয়ে গত শনিবার সে বাবার সঙ্গে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু তার বাবা তাকে ঢাকা না নিয়ে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে নিয়ে যায়।
এ সময় গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোঃ এজাজ শফীর উদ্ধার হওয়া কিশোরী কাছে তার বাবার বিচার চায় কিনা জানতে চাইলে, কিশোরী আবেগআপ্লুত হয়ে বলে, আব্বু ভুল করেছে, আব্বুকে ভালো হওয়ার জন্য একবার সুযোগ দেন স্যার। এবং সে তার মায়ের কাছে ফিরে যেতে চায়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ওসি মোঃ এজাজ শফী জানান, কিশোরী বিক্রি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল শনিবার দিনগত রাতে ছদ্মবেশে যৌনপল্লীতে গিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এসময় হাতেনাতে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হওয়া কিশোরীর নির্ভরযোগ্য কোনো অভিভাবক না থাকায় আদালতের মাধ্যেমে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত সরকারি সেভ হোমে রাখার আবেদন করা হবে।