প্রেম,অবনতি,এরপর আপত্তিকর ছবি ফেইসবুকে দেওয়ার অভিযোগে আটক-১
প্রকাশিত: ৫:৪০ অপরাহ্ণ ,১২ মার্চ, ২০১৯ | আপডেট: ১০:৫২ অপরাহ্ণ ,১৩ মার্চ, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার।। বেসরকারী ব্যাংকে কর্মরত তরুণীর সাথে দির্ঘদিন প্রেম সম্পর্কের আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মাসুদ রানা (৩৭) কে আটক করেছে র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল।এ সময় তার নিকট হতে উক্ত আপত্তিকর ছবি সম্বলিত মোবাইল ও মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয়।
উক্ত ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে ১২ মার্চ-১৯ মঙ্গলবার বিকেল সারে ৪.টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন সাহেবের চর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তার নিজ বাড়ী হতে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যাক্তি, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার সাহেবের চর গ্রামের মৃত আবু তালেব মুন্সীর ছেলে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, আনুমানিক ৪/৫ বছর পূর্বে ফেইসবুকের মাধ্যমে ব্যাংক কর্মকর্তা তরুণীর সাথে অভিযুক্ত মাসুদ রানা নিজেকে ঢাকা কলেজের ছাত্র পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। এক পর্যায়ে উক্ত তরুণী জানতে পারেন অভিযুক্ত মাসুদ রানা প্রকৃত পক্ষে দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। তখন উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল সৃষ্টি হলে অভিযুক্ত মাসুদ রানা তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিভিন্ন ধরণের আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এ সংক্রান্তে ভিকটিমের পরিবার গত বছরের মে মাসে ডিএমপির বাড্ডা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (বাড্ডা থানার জিডি নং-১০৭১, তাং-১৯-০৫-২০১৮) করলে অভিযুক্ত মাসুদ রানা মুচলেকা দিয়ে প্রতিজ্ঞা করেন ভবিষ্যতে কোন ধরণের আপত্তিকর ছবি ফেইসবুকে ছড়াবেন না। কিন্তু বিগত ৩/৪ মাস যাবৎ অভিযুক্ত মাসুদ রানা পুনরায় ঐ তরুণীর আপত্তিকর ছবি ফেইসবুকের মাধ্যমে তাদের আত্মীয় স্বজনের নিকট পাঠানো শুরু করে।এ বিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা ঐ তরুণীর মা বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি নিযন্ত্রণ আইনে বাড্ডা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-১৬, তাং-১২-০৩-২০১৯। এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতারে র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের সহযোগিতা কামনা করেন। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়।
এ সময় তার নিকট হতে উক্ত আপত্তিকর ছবি সম্বলিত মোবাইল ও মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয়। আটককৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে। আটককৃত আসামীকে ডিএমপির বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করা হয়।