গোয়ালন্দ উপজেলা সংবাদদাতা।। দৌলতদিয়ায় এক যৌনকর্মী প্রেমিকার গলায় ভাঙা কাঁচের টুকরো দ্বারা আঘাত করে হত্যার চেষ্টায় তার কথিত প্রেমিককে আটক করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।সেই সাথে আহত যৌনকর্মীকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।তবে হামলাকারীর বিরুদ্ধে জখমকৃত ওই তরুনী অভিযোগ দিতে না চাওয়ায় দু’জনকেই আদালতে পাঠানোর কথা ভাবছে পুলিশ।
৭ই মার্চ-১৯ বৃহস্পতিবার সকালে আহত যৌনকর্মীকে উদ্ধার ও হত্যাচেষ্টাকারী আটক করা হয়।
হামলার শিকার হওয়া ২৫ বছর বয়সী ওই যৌনকর্মী নড়াইল জেলার নড়াগাথি উপজেলার বাওইসোনা গ্রামের দরিদ্র রিক্সা চালকের মেয়ে।এবং আটককৃত কথিত প্রেমিক মামুন মোল্লা (২৮) গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া সামছু মাস্টারের পাড়ার মুন্নাফ মোল্লার ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গোয়ালন্দ ঘাট থানা হতে আহত যৌনকর্মীর জানায়, ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করার কথা বলে সে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বসবাস করে। এখানে থাকতে থাকতে মামুনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।বৃহস্পতিবার সকালে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মামুন তার গলায় আঘাত করে।আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ সময়, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি ওই যৌনকর্মীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য সব রকম ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা বললে সে এতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলে যে, এ পথে একবার কেউ আসলে তার আর ফিরে যাওয়ার পথ থাকে না।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি এজাজ শফী জানান, সম্প্রতি কয়েকটি গলাকেটে হতাহতের ঘটনায় দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে পুলিশের বিশেষ নজরদারী রয়েছে। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অবস্থান করা থানা পুলিশের একটি দল প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ওই তরুনীকে উদ্ধার ও হামলাকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ওই তরুনীকে গলায় ভাঙা কাঁচের টুকরো দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করলেও থানায় এসে ওই তরুনী হামলাকারী কথিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে চাচ্ছে না। তাই আটককৃত দুই জনকেই রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হবে। তাদের ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।