স্টাফ রিপোর্টার।। ঢাকা-ফরিদপুর মহাসড়কের পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ অবস্থানে দ্বিতীয় পদ্মাসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বর্তমানে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর অভিজ্ঞাতা পর্যালোচনা করে পাটুরিয়া-গোয়ালন্দে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
৫ মার্চ-১৯ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে একথা জানানো হয়।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। ওবায়দুল কাদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকলেও তার উত্তর পূর্বনির্ধারিত ছিল।
পূর্বনির্ধারিত লিখিত উত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-ফরিদপুর মহাসড়কের পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ অবস্থানে দ্বিতীয় পদ্মাসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ সেতু নির্মাণে পিডিপিপি নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে।
‘অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে গতবছর ৩০ মে অনুষ্ঠিত পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নরসের দ্বিতীয় সভায় দ্বিতীয় পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্যোগ বর্তমানে নির্মাণাধীন পদ্মাসেতুর কার্যক্রম শেষ হলে এর অভিজ্ঞতা পর্যালোচনার পর গ্রহণ করা যেতে পারে মর্মে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্ণিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বিতীয় পদ্মাসেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে আশা করা যায়।’
উল্লেখ্য, রাজবাড়ীতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু ও পাবনা নাজিরগঞ্জ-জৌকুড়া সেতু নির্মানের দাবি জানিয়ে বলেন, এই সেতুগুলো হলে যোগাযোগ ব্যাবস্থা উন্নত হবে। দেশের উন্নয়ন কাজগুলো পরিকল্পিত ভাবে করলে সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত হবে বলে আমি মনে করি। এই কারনে সেতু দু’টি করার জোড় দাবি জানাই।
২৫শে ফেব্রুয়ারি-১৯ সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বক্তব্যে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী এ কথা বলেন।
এ ছাড়াও, ৭০ ভাগ কারিগড়ি শিক্ষা চালুর দাবি জানিয়ে কাজী কেরামত আলী বলেন, আজকে শিক্ষার মান বেরেছে। চলমান গতনুগতিক শিক্ষা ব্যাবস্থা কমিয়ে দিয়ে কারিগড়ি শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু করতে হবে, বিএ পাশ করে, এমএ পাশ করে চাকরী নাই। কারিগড়ি শিক্ষা ব্যাবস্থায় চাকরী না পেলেও হাতের কাজ করেও জীবন চলার পথ তৈরী করতে পারবে, কেউ বেকার থাকবে না। বিদেশে ৭০ ভাগ কারিগড়ি শিক্ষা ব্যাবস্থা।দেশ কে এগিয়ে নিতে হলে কারিগড়ি শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল কারিগড়ি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা। আমার প্রস্তাব হলো, প্রতিটি স্কুলে অন্তত দু’টি করে ট্রেডের উপরে কারিগড়ি শিক্ষা চালু করা উচিৎ।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।