আজ : বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়া পতিতাপল্লিতে গলাকেটে হত্যা:গ্রেফতার-১


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ১০:০৬ অপরাহ্ণ ,১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ | আপডেট: ১০:০৯ অপরাহ্ণ ,১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
দৌলতদিয়া পতিতাপল্লিতে গলাকেটে হত্যা:গ্রেফতার-১

উজ্জল চক্রবর্ত্তী-স্টাফ রিপোর্টার।। শাহনাজ পারভীন স্বপ্না ওরফে শশী (২৬) নামের এক তরুনী যৌনকর্মিকে গলাকেটে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় খুনি সন্দেহে রনি মোল্লা নামের এক যুবককে ছোড়াসহ আটক করে স্থানীয়রা।

১৩ই ফেব্রুয়ারি-১৯ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এ অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে।

রনি মোল্লা- মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের কৌড়ি গ্রামের সোহরাব মোল্লার ছেলে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় যে, বৃহস্পতিবার রাত ৮.টার দিকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর যৌনকর্মী শশীর ঘরে খদ্দের হয়ে প্রবেশ করে রনি। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রনি বিশেষ মুহুর্তে তার কাছে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে শশীর গলায় টান মারে। এসময় শশী চিৎকার দিয়ে দৌড় দেয়। এসময় রনি তাকে পেছন থেকে আবারো ছুরি দিয়ে কোপ মারে। এতে শশী ঘরের দরজা খুলে সেখানে পড়ে যায়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে এসে রনিকে ছুরিসহ হাতেনাতে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

এদিকে, আহত শশীকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে নেয়ার পথেই শশীর মৃত্যু হয়।

দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাসিন্দা সেলিনা খাতুন জানান, সম্প্রতি একই কায়দায় যৌনকর্মীদের গলাকেটে হত্যা ও হত্যাচেষ্টায় পল্লীর বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তিনি আরো জানান, পরপর একাধিক এ ধরনের ঘটনা ঘটায় দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে ও উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করেছে।

এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এজাজ শফী জানান, এ ঘটনায় নিহত শশীর বোন মিতু বাদি হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে রনি হত্যাকান্ডের বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য শুক্রবার বিকেলে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হলে আদালতেও সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অপর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।

Comments

comments