শামিম-পিরোজপুর সংবাদদাতা। পিরোজপুরের কঁচা নদীর বিভিন্ন স্থানে ডুবোচর জেগে ওঠায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে টগড়া-চরখালী নৌরুটে ফেরি চলাচল। এর ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা নদীতে আটকে থাকতে হয় গাড়ী ও যাত্রী বোঝাই ফেরি। টগড়া-চরখালী ফেরি রুট দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা সহ দক্ষিণাঞ্চলের ১২ টি রুটের যানবাহন চলাচল করে থাকে। প্রায় ২ কিলোমিটার চওড়া এ নদীতে থেকে ফেরী পাড়াপাড়ে বছরের অন্যান্য সময় ২০-২৫ মিনিট সময় লাগলেও শীত মৌসুমে এর চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। এ সময় নদীতে পানি কমে যাওয়ায় প্রায়ই ডুবো চড়ে ফেরি আটকা পড়ে সৃষ্টি হয় জনদূর্ভোগ। এ সমস্যা নদীর প্রায় অর্ধেকটা অংশ জুড়েই। আর এতে প্রতিদিন ঢাকা সহ দক্ষিণাঞ্চলের ১২ টি রুটের যানবাহন নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরি আটকে থাকে নদীর মাঝে। যতক্ষণ নদীতে জোয়ার না আসে, ততক্ষণ এ অপেক্ষা চলতে থাকে। নদীতে ফেরি আটকে থাকায় মূল্যবান সময় নষ্ট সহ নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয় গাড়ির চালক ও যাত্রীদের। এছাড়া ভাটার সময় পন্টুন অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় ফেরিতে গাড়ী উঠা-নামাতেও অনেক সমস্যা হয়।
এ বিষয়ে, নিয়মিত ফেরিতে চলাচলকারী আশরাফ জামান এ প্রতিবেদককে বলেন- শীতের সময় এ সমস্যার প্রবনতা অনেক বেড়ে যায়। চর জাগার কারনে প্রতিদিন কম-বেশি ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এতে, চলাচলে চরম সমস্যায় পড়ি।ফেরির স্বাভাবিক চলাচলের জন্য এ নদীতে ড্রেজিং করা দরকার।
বাসচালক ছগির মিয়া জানান- ডুবচরের জন্য এসময়টাতে নিয়মিত সমস্যা পড়তে হয়। একবার চরে ফেরি আটকালে ২-৩ ঘন্টা লেগে যায়।
চরখালী ফেরি ইজারাদার কর্তৃপক্ষ মোঃ জসীম উদ্দিন বলেন- নদীর নাব্যতা সংকটের কারনে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন হয়, এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি আমরা। প্রতিদিন কম বেশি ফেরি চলাচলে বিলম্ব হয়। বিশেষ করে ভাটার সময় ফেরি ডুবচরে আটকে যায়। তাই যত দ্রুত সম্ভব এ রুটে ফেরির স্বাভাবিক চলাচলের জন্য ড্রেজিং করা একান্ত দরকার।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।