দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রি থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেল ৫ম শ্রেণির ছাত্রী
প্রকাশিত: ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ ,২০ জানুয়ারি, ২০১৯ | আপডেট: ৯:৫২ অপরাহ্ণ ,২০ জানুয়ারি, ২০১৯
উজ্জল চক্রবর্ত্তী-স্টাফ রিপোর্টার।। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় শনিবার মধ্যোরাতে চিৎকার-চেচামেচি করতে থাকায় স্থানীয়দের ও দৌলতদিয়া ঘাটের ট্রফিক বক্সের পুলিশের সহযোগীতায় রক্ষা পায় ৮ বছরের একটি কন্যা শিশু।পরে খবর পেয়ে গোয়ালন্দঘাট থানা পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে রোববার দুপুরে থানা পুলিশ তার পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে।
উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম সিনথিয়া খাতুন (৮)।সে কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া মডেল থানার জগোতি এলাকার আব্দুস ছালামের মেয়ে।
বিস্তারিত, সকলের ধারনা দুর্বৃত্তরা শনিবার সন্ধ্যায় তাকে অচেতন করে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রির উদ্দ্যেশ্যে নিয়ে এসেছিল।মধ্যরাতে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে শিশুটির জ্ঞান ফিরে আসলে চিৎকার-চেচামেচি করাতে সে রক্ষা পায়।
দৌলতদিয়া ঘাটের ট্রফিক বক্সের পুলিশ জানায়- হঠাৎ রাত ২.টার দিকে একটি শিশু চিৎকার-চেচামেচি করতে থাকে।এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় সিনথিয়া দৌলতদিয়া পুলিশ বক্সে আশ্রয় নেয়।বিপদ আঁচ করতে পেড়ে হয়তবা এ সময় অপহরনকারীরা পালিয়ে যায়।পুলিশ বক্স থেকে তাৎক্ষনিক গোয়ালন্দ ঘাট থানায় জানালে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, পরে শিশুটির কাছ থেকে পরিবারের ঠিকানা জানার পর এবং বাবা আব্দুস ছালামকে ফোন করে জানালে তারা ছুটে আসে।এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়রী এন্ট্রি করে পরিবারের কাছে সিনথিয়াকে দেয়া হয়েছে।তবে, রাতে শিশুটির জ্ঞান ফিরে না আসলে হয়তো বড় বিপদ হতে পারতো।
উদ্ধারকৃত শিশু সিনথিয়া খাতুনের বাবা জানান- দুই ভাই বোনের মধ্যে সিনথিয়া ছোট। শনিবার বিকেলে দুই ভাই বোনের মধ্যে ঝগড়া হয় ও এক পর্যায়ে বড় ভাই রিফাত মারধর করলে সিনথিয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে বাড়ির সামনের পাকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কান্না করতে থাকে।
উদ্ধার হওয়া শিশু সিনথিয়া জানান, সন্ধ্যার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তি জানায়, তার বাবা তার সঙ্গে যেতে বলেছে।এ কথা বলেই একটি রুমাল বের করে তার মুখে ধরে।