রাজবাড়ী জেলার আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত!
প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ণ ,১৩ জানুয়ারি, ২০১৯ | আপডেট: ১১:৩৪ অপরাহ্ণ ,১৩ জানুয়ারি, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার।। ইট ভাটায় কাঠ পোড়ানো বন্ধে, রাজবাড়ী শহরের যান-জট নিরসনে কেন্দ্রীয় টার্মিনাল সংস্কার, অটো ষ্ট্যান্ড নির্মান, পৌর-এলাকায় ড্রেনেজ ব্যাবস্থা পরিচ্ছন্ন করন, পতিতা পল্লীতে অপরাধ-প্রবনতা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন, মাদক নিরমূল, নদী-খনন, হাইওয়ের কাজ দ্রুত করনসহ উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে রাজবাড়ী জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
১৩ই জানুয়ারি-১৯ রবিবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায়, বক্তাদের বক্তব্যে পরিপ্রেক্ষিতে যে সিদ্বান্ত গৃহীত হয় তাহা কিছুটা তুলে ধরা হলোঃ-
সভায়, ইট ভাটা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন- ইট ভাটা থেকে এ বছর ৩১ লাক্ষ টাকা মোবাইল কোটের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। ট্রাকের মাটি ফেলে রাস্তা নষ্ট করা যাবেনা এবং কাঠ পোড়ানো যাবেনা।ইট ভাটায় যাতে কাঠ না পোড়াতে পাড়ে তার জন্য আগামিকাল থেকে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।আর মাদকের বিষয়ে গ্রেফতার অব্যাহত থাকবে ।
মেয়রের উদ্দ্যেশ্যে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক বলেন- বৃষ্টির আগেই পৌর এলাকার ড্রেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ শেষ করতে হবে এবং ড্রেনের উঠানো স্তুপকরা ময়লা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।রাজবাড়ী রেলগেটসহ শহরের জানজট নিরসনের জন্য নির্দিষ্ট অটো ষ্ট্যান্ড দরকার, রেল লাইনের পাশে বা যেকনো জায়গায় অটো ষ্ট্যান্ড করার ব্যাবস্থা নিব ।
বাস-পরিবহন সংশ্লিষ্টদের উদ্দ্যেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন- যানযট নিরসনের জন্য যত্রতত্র বাস দারানো যাবেনা, বিশেষ করে নতুন বাজার বাসস্ট্যান্ড ও বড়পুল স্ট্যান্ডে জানজট সৃষ্টি করা যাবেনা, কেন্দ্রিয় বাসটার্মিনাল ব্যাবহার করতে হবে ।
নদী খনন সংশ্লিষ্টদের উদ্দ্যেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন- বিদ্যুতের জন্য নৌ-পথে পারমানবিক কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি বহনের জন্য পদ্মা নদীর একপাশ দিয়ে ড্রেজিংয়ের কারনে শহর রক্ষা বাধ হুমকিতে, অতএব নদীতে একপাশ দিয়ে ড্রেজিং করা যাবেনা, নদীর মাঝখান দিয়ে ডেজিং করতে দ্রুত ব্যাবস্থা নিতে হবে ।
বালু ব্যাবসায়ী ও বালু সংশ্লিষ্টদের উদ্দ্যেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন- লোডকৃত বালুর ট্রাক না ঢেকে খোলা অবস্থায় ও সময় ছাড়া যখন-তখন রাস্তায় চলা-চল করা যাবেনা, বালির ট্রাকের ব্যাপারে ব্যাবস্থা নিতে হবে।
হাইওয়ে রাস্তার কাজ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন- হাইওয়ে রাস্তার কাজের অগ্রগতি একেবারেই স্লো, হাইওয়ে রাস্তার কাজ তরান্ধিত করতে হবে এবং সামনের মিটিংয়ে সয়ং ঠিকাদারকে উপস্থিত থাকতে হবে। শহর রক্ষা বাধের কাজও শুরু হয়েছে ।
পতিতাদের এনআইড কার্ড ও দৌলতদিয়ায় সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বলেন- দৌলতদিয়া যৌন পল্লিতে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবতর্নের জন্য ব্যাবস্থা নিতে হবে এবং অপরাধীরা/সন্ত্রসীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অপরাধ করে এসে দৌলতদিয়া যৌন পল্লিতে থাকে।দৌলতদিয়ায় সন্ত্রাসিদের শেল্টারের ব্যাপারে পুলিশকে এলাট থাকতে হবে।
থ্রি হুইলারের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বলেন- থ্রি হুইলারের সাথে জড়িত অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, অতএব এটি বন্ধের পক্ষে না, তবে হাইওয়েতে চলতে পারবেনা, আশ-পাশের রাস্তা দিয়ে চলতে পারবে।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী’র স্ভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা ও রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী ও রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম। রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহাম্মদ আলী চৌধুরী প্রমুখ ।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন (উপ সচিব), এন এস আই ডিডি জিল্লুল রহমান, সরকারি কলেজের প্রভাশক আঃ রাজ্জাক মন্ডল, জেলা ডিএনসি এর সহকারী পরিচালক তানভীর হোসেন খান, জেলা জাসদ এর স্ভাপতি মুক্তিযোদ্বা আহমেদ নিজাম মন্টু সহ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।