উজ্জল চক্রবর্ত্তী-স্টাফ রিপোর্টার।। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীর শম্পা বাড়ীওয়ালীর ঘরের বাসিন্দা নীলা (২৩) নামের এক যৌনকর্মীকে ৬ জানুয়ারী-১৯ রবিবার রাত সাড়ে ৭.টার দিকে গলাকেটে হত্যার ২দিন পর রহস্য উদঘাটন করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
এ ঘটনায়, ৮ জানুয়ারী গ্রেফতারকৃত আকলিমা বেগম (৪০) মঙ্গলবার দুপুরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে রাজবাড়ীর আদালতে।
এর আগে ৭ জানুয়ারী সোমবার বিকেলে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করে বাড়িওয়ালী শম্পা। পুলিশ মামলার এজাহার ভুক্ত ৩ নং আসামী আকলিমা আক্তারকে ওই রাতেই গ্রেফতার করে। সে পল্লীর আলেয়া বাড়ীওয়ালীর ভাড়াটিয়া এবং স্থানীয় আইয়ুব মোল্লার কথিত স্ত্রী।
গোয়ালন্দ থানার ওসি এজাজ শফি এ প্রতিবেদককে জানান, পুলিশ মঙ্গলবার আসামী আকলিমাকে রাজবাড়ীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লাবনী আক্তারের আদালতে হাজির করলে আকলিমা নীলার হত্যাকান্ডে তার জড়িত থাকা এবং অপর আসামীদের জড়িত থাকার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আসামীরা জোরপূর্বক টাকা ছাড়া নীলার সাথে ফুর্তি করে এবং নীলা তার প্রাপ্য টাকা দাবী করায় তাকে খুন করা হয়েছে বলে আকলিমা জানিয়েছে। তিনি আরো জানান, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের ২ দিনের মধ্যে পুলিশ হত্যারহস্য উদঘাটন করল।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যার দিকে পল্লীর আকলিমা আক্তারের কথিত স্বামী আইয়ুব মোল্লা ৫জন যুবককে নিয়ে নীলার ঘরে নিয়ে আসে। সেখানে আইয়ুব নীলার বাসার কাজের মহিলা আন্না বেগমকে দিয়ে ওই বাড়ীর তিশা নামের আরেকটি মেয়েকে ডেকে আনে। কিন্তু কথায় বনিবনা না হওয়ায় তিশা নিজের ঘরে ফিরে যায়। পরে নীলার ঘরে দীর্ঘ সময় উচ্চ শব্দে গানবাজনা চলতে থাকে। তারও কিছুক্ষণ পর কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬.টার দিকে আশপাশের মহিলারা নীলার ঘরের দরজার ফাঁক দিয়ে মেঝেতে নীলাকে উলঙ্গ ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে শম্পা বাড়ীওয়ালী আকলিমা বাড়ীওয়ালীর বাড়ীতে গিয়ে আইয়ুব মোল্লার খোজ করে জানতে পারেন সে এবং আরো কয়েকজন কিছুক্ষণ আগে এ বাড়ীতে রক্ত মাখা পোশাকে ঢোকে। পরে তারা হাত-পা ধুয়ে ও একটি ব্যাগ হাতে করে বেরিয়ে যায়।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।