৫টি বোমা উদ্ধারসহ রাজবাড়ী সদর জামায়াত আমীর রাজ্জাক গ্রেপ্তার
প্রকাশিত: ২:৩৭ পূর্বাহ্ণ ,১৫ নভেম্বর, ২০১৮ | আপডেট: ২:৩৭ পূর্বাহ্ণ ,১৫ নভেম্বর, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার।। ৫টি তাজা ককটেল বোমা উদ্ধার করাসহ রাজবাড়ী সদর উপজেলার জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক ও জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের ৭ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে রাজবাড়ী থানা পুলিশ।মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক হচ্ছে- ভগীরাথপুর ইসলামীয়া ডিগ্রী মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক।
এ ঘটনায় থানার এসআই আরিফ বাদী হয়ে ওই সাত জনকে চিহ্নিত করে এবং ২৫/৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, জামায়েত উপদেষ্টা ও খানগঞ্জ মাদ্রাসার সুপার সেলিম রেজা, শহিদুল্লাহ খান, জামায়াত সদস্য সোহাগ মিয়া, আসলাম ব্যাপারী, খানগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারন সম্পাদক ইজাজুল ইসলাম ও শিবির কর্মী বিল্লাল হোসেন।
এ বিষয়ে, রাজবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, গত মঙ্গলবার রাতে রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের কল্যানপুর গ্রামে অবস্থিত সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ীতে একদল জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মী গোপন বৈঠকে করছিলেন, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাড়ে ১০.টার দিকে থানা পুলিশের সদস্যরা ওই বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে সাতজনকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি ৫টি তাজা ককটেল বোমা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আজ বুধবার থানায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ী সদর উপজেলার জামায়াতের আমীর ও ভগীরাথপুর ইসলামীয়া ডিগ্রী মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ মাহফিলের নামে প্রকাশ্যে জামায়াত ইসলামের কর্মকান্ডের প্রচার করে চলেছেন।দন্ডপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুক্তি চেয়ে তার ফেসবুক আইডিতে পোষ্টারের প্রচার করেছেন। আবার, ইসলাম প্রচারের নামে কৌশলিকভাবে স্বাধীনতাবিরোধিদের পক্ষে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন উস্কানিমূলক লেখা পোষ্ট করেছেন।তার প্রকাশিত লেখায় দেশের মানুষের মাঝে বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়ে রক্তা-রক্তি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
তার ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত একাধিক পোষ্টোর কিছু অংশ নিন্মে তুলে ধরা হলোঃ-
জেল জুলুম,হুলিয়া,
গুম,মামলা,হামলা ও গ্রেপ্তার করে সাময়িক কষ্ট দেয়া যায়। কিন্তু ইসলামী আদর্শবাদী দল ও নেতা কর্মী উৎখাত করা যায় না।
Mawlana Abdur Razzak
এক শ্রেণীর লোক আছে, যারা দাড়ী,টুপি,তসবিহ,জুব্বা, হিজাব,ও বোরকাকে ধর্মান্ধ ও জঙ্গীদের পোষাক মনে করে।
কিন্তু দেখা যায় নির্বাচনী মৌসুমে এরাই মাথায় টুপি দিয়ে, হাতে তসবিহ নিয়ে,
সুন্দর পান্জাবী গায়ে দিয়ে ঐ জঙ্গীদের লেবাস ব্যবহার করে ভোট ভিক্ষা করছে, সেই আব্দুল্লাহ বিন ওবাইয়ের নাতী নাতনিদের মতো।
হুজুরদের পিছনে নামাজ পড়ে,, সালাম ফিরিয়ে ঐ হুজুরকেই গালী দেয়।
যেই হুজুর, বাপের জানাজা পড়ায়, এই হুজুরকে একটু পরে রাজাকার ও ধর্মান্ধ বলে।
নিজের বিয়ে পড়ায় যে হুজুর, সেই হুজুরকেই আবার যুদ্ধাপরাধী বলে।
হুজুরের কাছে দোয়া চায় আবার সেই হুজুরকে মিথ্যা মামলা সহ সব ধরনের নির্যাতন করে।।। এ জাতির জন্য এটাই দুর্ভোগ!! আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন,,
সুরা মাউন,কাউসার,কাফিরুন,নাছর,
লাহাব ও এখলাছ এই সুরা গুলোর সরল অনুবাদ অবশ্যই পড়বেন,
,বাস্তবতা খুজে পাবেন,,
Mawlana Abdur Razzak
ভন্ড পীর ও মাজার ব্যবসায়ীরা নিরীহ মুসলমানদের ইমান ও সম্পদ লুটপাট করছে!!! ধর্মের নামে।
মুসলমান হিসেবে আমাদেরকে লক্ষ রাখতে হবে ঃ-
মরা জিন্দা মানুষের পায়ের উপর সিজদা দেয়া হারাম।
মাজারে বা কবরে সিজদা দেয়া হারাম।
কোন প্রয়োজনে মাজার বা পীরের কাছে মনের আশা পুরনে ধর্না ধরা হারাম।
মসজিদে না দিয়ে কোন মাজার বা পীরের নামে মানত করা হারাম।
মা বাবার সেবা না করে কোন পীরের গোলাম হওয়া হারাম।
নিজের মা,বোন, ও মেয়ে বেপর্দা অবস্থায় পীর বা ফকিরের কাছে যাতায়াত করা হারাম।
এই সমস্ত ভন্ড পীর ও মাজার পুজারীরা দুনিয়া ও আখেরাতে কাহারো কোন উপকার করতে পারবে না ও কোন ক্ষতিও করতে পারবে না। এই বিশ্বাস রাখা ইমানী দ্বায়ীত্ব।
মুসলমান জীবনের সব ক্ষেত্রে সাহায্য চাইতে হবে একমাত্র আল্লাহর নিকট।
আল্লাহ আমাদেরকে এসমস্ত ভন্ডামী থেকে হেফাজত করুন, আমিন,,
এদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করুন।
Mawlana Abdur Razzak
12 আগস্ট ·
Mawlana Abdur Razzak Riaz Ahmed ভাইজান ইসলামের দূশমনদেরকে ভয়ের কিছু নেই,,, যদি আমরা ভয় পেতাম তাহলে তো প্রতিদিন গ্রেপ্তার, হামলা,মামলা হওয়ার পরও আন্দোলন চলছে,, চলবে ইনশাহআল্লাহ
Mawlana Abdur Razzak
2 আগস্ট ·
বঙ্গপোসাগরে মাছে ও কুমিরে মারামারী হলেও- জ্ঞানপাপীরা বলবে জামায়াত শিবিরের হাত আছে!!!
মাডার করে এদের উপর দোষ চাপাইলে সাতখুন মাফ!! যাহাই ঘটে তাহার মধ্যে জামায়াত শিবির কানেক্শন গন্ধ খুজে পায়,, বাস ট্রাক চাপা দিয়ে ছাত্র ছাত্রী মারলো দোষ দিচ্ছে জামায়াত শিবিরকে,, কি আজব তামাশা,,,,
নিশাখোর, অথর্ব ও অযোগ্য ড্রাইভার দ্বারা গাড়ী চালালে এক্সিডেন্টতো হবেই। তবে পথচারীরাও সজাগ হয়ে পথ চলতে হবে।
Mawlana Abdur Razzak
1 আগস্ট ·
ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়া দেয়া।
এই চরিত্র এদের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যপার।
ঢাকা বিমান বন্দর রোডে, বাসে ও ট্রাকে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থানে ৩ জন, হাসপাতালে নেয়ার পর ৪ জন ছাত্র ছাত্রীর মৃত্যুতে বিচারতো করেই না, বরং মন্ত্রীরা হাসা হাসি করে -পরিস্থিতি উত্তাপ্ত করে তুলে-ছাত্র ছাত্রীদের উপর আইনশৃংক্ষলা বাহিনীর হামলা। তার পর আবার ছাত্রলীগ বাস ভাংগার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ায় প্রমান করে, ছাত্র ছাত্রীদের ন্যয্য দাবীকে ভিন্ন ক্ষাতে প্রবাহিত করার ব্যর্থ চেষ্টা। কোটা আন্দোলন সহ সব আন্দোলন এভাবেই ব্যর্থ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
31 জুলাই ·
যে মোল্লার কারনে সিন্নি খাইলা সেই মোল্লা চিনলা না
গুলি খাইলো কারা,ভোট চোর ও কেন্দ্র পাহারা দিলো কারা, আর রাজনৈতিক পায়দা নিলো কে বা কারা !
সিলেট সিটি নির্বাচনে….
কিন্ত দুঃখের বিষয় মিডিয়াগুলো ও গনতন্রের ফেরীওয়ালারা আজ নিরব কেন? এ ব্যপারে কোন কথা নেই কেন?
26 জুলাই ·
দ্বীন কায়েমের কর্মসূচী নাই শুধু ফতুয়া, সহীহ হাদীসের আমল,নেকি আর নেকি,জিকির আজকার,নিয়ে ব্যস্ত, রাসুল সঃ যে উহুদের ময়দানে দানদান, তায়েফে রক্ত,হিজরত, ও সাহাবারা জীবন দিলেন সেই দ্বীন কায়েমের কাছে এদেরকে পাওয়া যায় না,,, তাই আমার এই লেখা
Mawlana Abdur Razzak Mawlana Abdur Razzak ভাই মাইনুল ভুইয়া কথাটা খুবই সহজ,, আমাদের দেশে,, রাজনৈতিক দলগুলোর মত পার্থক্য রয়েছে, যেমন ধরুন,, আওয়ামীলীগ, তাদের উদ্যেশ্য ধর্মনিরপক্ষ কায়েম করা, আপনি যদি তাদের ভোট দেন তাহলে আপনি কিয়ামতে তাদের অনুসারী হবেন। বি এন পির উদ্যেশ্য জাতিয়তাবাদ কায়েম করা, আপনি যদি বিএনপিকে ভোট দেন তাহলে কিয়ামতে তাদের সাথে হাশর হবে। আর আল্লাহরর আইন ও রাসুলের আদর্শ যারা কায়েম করতে চান, আপনি যদি তাদেরকে ভোট দেন কিয়ামতে তাদের সাথে হাশর হবে ইনশাহ আল্লাহ। এখন বুঝুন কোন দলকে ভোট দিবেন। আর ভোটের উপর ভিত্তি করে ফয়সালা হবে, আশা করি বুঝবেন
Mawlana Abdur Razzak
9 জুলাই ·
হানাফী,শাফেয়ী,
হাম্বলী,মালেকী হতে চাও–জেল জুলুম ও নির্যাতনের প্রস্তুতি নাও,তারা শুধু মাসায়েল বলেন নাই, দ্বীন কায়েমের সৈনিক ছিলেন
29 মে ·
বাতিলের কারা বন্দি, হযরত ইউসুফ আঃ এর উত্তরসুরী,
আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেবের সাথে কারাগারে তার পুত্র ও আইনজীবিদের সাক্ষাৎকারে আল্লামা সাঈদী সাহেব বলেছেন, আমার প্রান প্রিয় মা জননী ও আমার কলিজার টুকরা সন্তান রফিক বিন সাঈদীর ইন্তেকালের সংবাদ কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে জানালে আমি তেমন শোকাহত হই নাই। আমি সন্তান ও বাবা হয়ে তাদের জানাজা পড়ায়েছি।
কিন্তু যখন শুনতে পেলাম যে,আমীরে জামায়াত শহীদ মাওঃ মতিউর রহমান নিজামী -শহীদ আলিআহসান মোঃ মুজাহীদ,-শহীদ আঃ কাদের মোল্লা,-শহীদ মোঃ কামরুজ্জামান ও শহীদ মীর কাশেম আলী, এই বীর মুজাহিদরা বাতিলের কাছে মাথানত না করে ফাশির দড়ি হাসিমুখে বরন করে শহীদী পেয়ালা পান করে মাবুদের দরবারে চলে গেছেন, এই সংবাদে আল্লামা সাঈদী বেহুশ হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন, অনেক পরে হুশ আসলে সাঈদী সাহেব চিৎকার দিয়ে কেঁদে কেঁদে বল্লেন, হে আল্লাহ তুমি তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করে জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করো ,তাদের প্রতিটি ফোটা রক্তের বিনিময়ে বাংলার জমিনে তোমার দ্বীন কায়েমের প্রেরনা দাও। আল্লামা সাঈদী সাহেব নিজের মা এবং পুত্রের ইন্তেকালে শোকাহত না হয়ে দ্বীন কায়েমের শহীদদের প্রতি যে সমবেদনা জানালেন,এতে প্রমান হয় যে,আল্লামা সাঈদী বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের নেতা কর্মীদের অনুপ্রেরনা।
আমাদের সেই উহুদের যুদ্ধের ময়দানে স্বামীহারা ও তিনটি সন্তান হারা,মায়ের কথা মনে পড়ে, যিনি রাসুল সঃকে জীবিত অবস্থায় পেয়ে বলেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল সঃ আমার স্বামী ও সন্তানরা শহীদ হয়েছে দুঃখ নেই কিন্ত আপনি বেচে আছেন এটাই আমার ও উম্মতের সান্তনা।
হে আল্লাহ তুমি আল্লামা সাঈদীকে বাতিলের বন্দি শালা হতে মুক্তি দিয়ে আমাদের মাঝে ফিরায়ে দাও, আমিন ইয়া রব্বাল আলামীন।