আজ : মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে ৭ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা বন্ধ, ভিজিএফ চাউল বিতরণ


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ২:৫৬ অপরাহ্ণ ,৭ অক্টোবর, ২০১৮ | আপডেট: ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ ,৮ অক্টোবর, ২০১৮
রাজবাড়ীতে ৭ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা বন্ধ, ভিজিএফ চাউল বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকা জেলেদের জন্য বিশেষ ভিজিএফ খাদ্যশস্য (চাউল) বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও সচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের ইলিশ ধরার সাথে সম্পৃক্ত কার্ডধারী ৪৭১ জন জেলেকে ২০ কেজি করে চাউল দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে সদর উপচেলার নদী তীরবর্তী এলাকার ইলিশ ধরার সাথে সম্পৃক্ত ২ হাজার ২৭১ জন কার্ডধারী জেলেদের এ চাউল বিতরণ করা হবে।

৭ অক্টোবর-১৮ রোববার সকাল ১১.টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে পদ্মা নদী সংলগ্ন গোদার বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী।
সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাঈদ আহম্মেদ এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মজিনুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাঈদুজ্জামান খান, জেলা মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি সচিন্দ্র নাথ সরকার প্রমূখ।

উল্লেখ্য, জেলায় ৯ হাজারের বেশি মৎস্যজীবি মাছ ধরার সাথে সম্পৃক্ত থাকলেউ ইলিশ মাছ ধরার সাথে প্রায় ৪ হাজার ৬৪০ জন। এদের প্রত্যেকে দেওয়া হচ্ছে ২০ কেজি করে চাউল। গত বছর ইলিশ মাছ ধরার দায়ে ৪১০ জনকে জেলেকে জেল দেওয়া হয়েছিল।

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে আগামী ৭ অক্টোবর হতে ২৮ অক্টোবর-২০১৮ পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ,বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তদপ্রেক্ষিতে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে আগামী ৭ অক্টোবর হতে ২৮ অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত জেলা টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, প্রচার-প্রচারণা, উদ্বুদ্ধকরণ সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় গৃহীত কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে সক্রিয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য রাজবাড়ীর  জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী জেলার সকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে উপানুষ্ঠানিক পত্র প্রেরণ করেছেন।

এ সময়ে জেলেদের নদীতে পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অধিদপ্তর।

Comments

comments