নিজস্ব প্রতিনিধি।। আমরা জানি যে, সরকারী প্রায় সকল অফিসেই কম-বেশী ঘুষ, দুর্নীতি চলে ও হয়রানীর শ্বিকার হয় সাধারন মানুষ। যদিও প্রমানের অভাব তারপরেও ঘুষ, দুর্নীতি আর হয়রানীর কথা অস্বিকার করার কোন উপায় নেই কারো। রাজবাড়ী সদর অফিসসমূহের মধ্যে ঘুষ-দূর্নীতির শির্ষে রয়েছে সাব-রেজিষ্টার অফিস, পাসপোর্ট অফিস ও বিআরটিএ অফিস। এটা চিরন্তন সত্য। অবাক বিষয় হলো- এই ঘুষ-দূর্নীতি ও হয়রানীর কথা শুনতে আসা দুদক কোন অফিসের বিরুদ্ধেই পেলেননা তেমন কোন সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ। যদিও সাব-রেজিষ্টার ও পাসপোর্ট অফিসের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়াসহ হয়রানীর শ্বিকার হওয়া ব্যাক্তিরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন, তারপরেও অফিসগুলো পার পেয়ে গেলেন প্রমানের অভাবে।
রাজবাড়ীতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর ৯৯ তম গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে ও রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ৭ই আগষ্ট-১৮ মঙ্গলবার বিকেল সারে ৪.টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
সরকারী দপ্তরের সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানীর বিষয়ে ভূক্তভোগীদের সরাসরি অভিযোগ শোনেন এবং দিক নির্দেশনা দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি- দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান। এ গণশুনানিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দুদকের বিভাগীয় পরিচালক মোঃ নাছিম আনোয়ার।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান খানের সঞ্চালনায় শুনাণীতে সরাসরি অভিযোগ কারীদের মুখোমুখি হন সদর উপজেলার সরকারী অফিসসমূহের কর্মকর্তারা। অংশ গ্রহনকারী অফিসসমূহের মধ্যে ছিল- জেলা ও সদর ভূমি অফিস, সেটেলম্যান্ট অফিস, সাব-রেজিষ্টার অফিস, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অফিস, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার কল্যান অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, হিসাব রক্ষণ অফিস, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস, সমবায় অফিস, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী সভাপতিত্বে ও দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল জব্বার, ডিডিএলজি (উপ-সচিব) এরশাদ হোসেন খান, সিভিল সার্জন ডাঃ রহিম বক্স, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রেবেকা খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশেক হাসান, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, ফরিদপুরের দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ফজলুল হক। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. এমএ খালেক, বরাট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, চন্দনী ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামসহ সকর ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বরসহ আগত দর্শকবৃন্দ প্রমূখ।
গণশুনানিতে, দুর্নীতি দমন-কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক বলেছেন, এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ, আর আমরা মালিকের কর্মচারী। তাই জনগনের কাছে আমাদের জবাবাদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সে কারনেই আজকের এই গণশুনানীর আয়োজন করা হয়েছে। এটা দেশের ৯৯ তম গণশুনানী। আমাদের কার্যক্রম দূর্ণীতির বিরুদ্ধে। আপনারা জানেন যে, বর্তমান সরকার একটি ডিজিটাল সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছে তা কোন দিন বাস্তবায়ন হবে না যদি আপনারা দুর্নীতি না ছাড়েন..! তাই দুর্নীতি ছাড়ুন সরকারকে সোনার বাংলা গড়তে সহযোগিতা করুন।
উল্লেখ্য, সরকারি অফিসে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হলে অভিযোগ করতে পারেন-দুর্নীতি দমন কমশিনরে সমন্বতি জেলা র্কাযালয়, ফরদিপুররে উপ-পরচিালক মোঃ ফজলুল হক (মোবাইল ০১৭১১১৪১৫০২) এবং সহকারী পরচিালক মোঃ শাহরয়িার জামান (মোবাইল ০১৭১১২২৭৮৩৭)।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।