দৌলঃ ঘাটের কোটি কোটি টাকা আত্নসাৎ করে চলেছে নুরু মন্ডল ও সফিকুল
প্রকাশিত: ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ ,৭ আগস্ট, ২০১৮ | আপডেট: ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ ,৭ আগস্ট, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক।। দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট। প্রতিদিন এই ঘাট দিয়ে ছোট বড় প্রায় ৪/৫ হাজার বিভিন্ন যান পারাপার হয়ে থাকে। প্রতিদিন বাস পরিবহন পারাপার হয়ে থাকে অন্তত ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার, এবং মালবাহি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পারপার হয় অন্তত ১ হাজার থেকে দেড় হাজার।
দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল ওরফে নুরু মন্ডল ও বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়ার ঘাট ব্যাবস্থাপক সফিকুল ইসলাম (বানিজ্য)এই দুই জনের জোগসাজশে বাস পরিবহন ও ট্রাক পরিবহন থেকে প্রতিদিন অবৈধ উপায়ে আয় করে থাকে লক্ষ লক্ষ টাকা। কিন্তু কি ভাবে ?
ট্রাক চালকদের সূত্রে জানা যায়, ফেরি পারাপারের জন্যে বিআইডব্লিউটিসি’র নির্ধারিত ভাড়া বড় ট্রাকের ক্ষেত্রে ১,৪৬০/=(এক হাজার চারশত ষাট) টাকা এবং ছোট ট্রাকের ক্ষেত্রে ১,০৬০/=(এক হাজার ষাট) টাকা।
মাঠে নেমে অনুসন্ধানে দেখাযায়, ঘাটে যানজট মুক্ত থাকলে প্রতিটি ট্রাকের টিকিট কাটতে হচ্ছে সরকারী নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৫০০ (পাঁচশত) টাকা বেশী দিয়ে, এই অতিরিক্ত টাকা সরাসরি কাউন্টারেই দিতে হয়। আর জানজট থাকলে টিকিট কাটতে হয় ৮০০ থেকে ১৫০০টাকা বেশী দিয়ে। প্রতিটি ট্রাক থেকে অতিরিক্ত যে ৫০০ (পাঁচশত) টাকা আদায় হয়, সেই টাকা থেকে ৪০০ (চারশত) টাকা জমা হয় চেয়ারম্যান নুরু মন্ডলের তহবিলে, আর ১০০ (একশত) টাকা জমা পরে বিআইডব্লিউটিসি’র শফিকুল ইসলামের তহবিলে। এটা চাঁদার টাকা।
দৌলতদিয়ার এই ঘাট দিয়ে প্রতি দিন (২৪ঘন্টা) ১,১০০টি থেকে ১,৫০০টি ছোট বড় বিভিন্ন ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরী পারাপার হয়ে থাকে। এই ট্রাক কাউন্টার থেকে গড়ে প্রতি দিন অন্তত ১,২০০টি ট্রাক থেকে ৫,০০/টাকা হারে নেয়া হলে, হিসেব মতে= ৬,০০০০০/= (ছয় লক্ষ টাকা) চাঁদা আদায় হয়ে থাকে। এই টাকা থেকে বিআইডব্লিউটিসি’র শফিকুল ইসলামের তহবিলে জমা হয় ১,২০,০০০/= (এক লাখ বিশ হাজার) টাকা। আর চেয়ারম্যান নুরু মন্ডলের তহবিলে জমা হয় ৪.৮০,০০০/=(চার লাখ আশি হাজার) টাকা।
অপরদিকে, যাত্রী পরিবহন বাস চালকদের সূত্রে জানা যায়, ফেরি পারাপারের জন্যে বিআইডব্লিউটিসি’র নির্ধারিত ভাড়া বড় বাস পরিবহনের ক্ষেত্রে ১,৯৫০/=(এক হাজার নয়শত পঞ্চাশ) টাকা এবং ছোট বাস পরিবহনের ক্ষেত্রে ১,৪৬০/=(এক হাজার চারশত ষাট) টাকা।
এই বাস পরিবহনে সিষ্টেম আবার আলাদা, বাসে তেমন চাঁদাবাজী হয়না, হয় বাসের টিকেটের টাকা আত্নসাৎ। বড় বাসের টিকেট কাটার জন্য ১,৯৫০/= টাকা নিয়ে টিকেট দেওয়া হয় ১,৪৬০/=টাকা মূল্যের। আত্নসাৎ করা হচ্ছে ৫,০০/= টাকা। যে টাকাগুলো আত্নসাৎ করা হচ্ছে তা ফেরি পারাপারের সরকারী টাকা।
দৌলতদিয়ার এই ঘাট দিয়ে প্রতি দিন (২৪ঘন্টা) অন্তত ২,০০০টি থেকে ২,৫০০টি যাত্রীবাহী বাস ফেরী পারাপার হয়ে থাকে।
এই বাস কাউন্টার থেকে গড়ে প্রতি দিন অন্তত ২,৫০০টি বাস থেকে ৫,০০/টাকা হারে আত্নসাৎ হয়ে থাকে প্রায়= ১২,৫০,০০০/= (বার লাখ পঞ্চাশ হাজার) টাকা। প্রতিটি বাস বাবদ ১০০/=টাকা হারে এই টাকা থেকে বিআইডব্লিউটিসি’র শফিকুল ইসলামের তহবিলে জমা হয় ২,৫০,০০০/= (দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার) টাকা। আর চেয়ারম্যান নুরু মন্ডলের তহবিলে জমা হয় ১০,০০০০০/= (দশ লাখ) টাকা।
গড়ে প্রতিদিন, বিআইডব্লিউটিসি’র শফিকুল ইসলামের তহবিলে জমা হয় বাসের আত্নসাতকৃত ২,৫০,০০০/=(দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার) টাকা + ট্রাক চাঁদাবাজীর ১,২০,০০০/= (এক লাখ বিশ হাজার) টাকা। বাস ও ট্রাক মিলে প্রতিদিনের অংক দাড়ায় প্রায় ৩,৭০,০০০/= (তিন লাখ সত্তুর হাজার) টাকা।
মাসিক আয় প্রায় ১,১১,০০০০০/=(এক কোটি এগারো লাখ) টাকা।
আর চেয়ারম্যান নুরু মন্ডলের তহবিলে জমা হয় আত্নসাৎকৃত বাসের টাকা ১০,০০০০০/= (দশ লাখ) টাকা + ট্রাক বাবদ ৪.৮০,০০০/=(চার লাখ আশি হাজার) টাকা। বাস ও ট্রাক মিলে অংক দাড়ায় প্রায় ১৪,৮০,০০০/=(চৌদ্দ লাখ আশি হাজার) টাকা। মাসিক আয় প্রায় ৪,৪৪,০০০০০/=(চার কোটি চোয়াল্লিশ লাখ) টাকা।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, বাস পরিবহন এবং বিভিন্ন ধরনের পন্যবাহী ট্রাক যেমন মাছ বহনকারী ট্রাক, কাঁচামালের ট্রাক, ফলের গাড়ি, গরু ও কাঠ বহনকারী ট্রাক, কাভার্ডাভ্যান, ছোট ট্রাক ও ছোট পিকআপ পারাপারের জন্য আবার বিভিন্ন লোকের দ্বায়িত্ব দেওয়া আছে। এরা হলোঃ-
১/ পরিবহন দালাল ও সর্দার- ফারুক ওরফে ভায়রা ফারুক, সে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নুরু মন্ডলের আপন ভায়রা সেকারনে সে ভায়রা ফারুক হিসাবে পরিচিত। সে কারনে সকল পরিবহন দালালের থেকে হিসাব নিয়ে নুরু মন্ডলকে হিসাব বুঝে দেওয়ার দ্বায়ীত্ব এই ভায়রা ফারুকের।
তাছাড়াও, এই ভয়রা ফারুকের দ্বায়ীত্বে প্রতিদিন গরু ও কাঁচা মালের ট্রাক এবং কাভার্ডভ্যান মিলে অন্তত ৪/৫শ গাড়ি ঘাট পাড় হয়ে থাকে।
২/ পরিবহন দালাল- নুরু মন্ডল চেয়ারম্যানের ভাগ্নে ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ জুলহাস মোল্লার দ্বায়ীত্বে রয়েছে মাছ, পান ও কাঁচামালের ট্রাক। তার দ্বায়ীত্বে প্রতিদিন প্রায় ১৭০ থেকে ২০০টি ট্রাক ঘাট পার হয়।
৩/ পরিবহন দালাল- টোকন মোল্লার দ্বায়ীত্বে প্রতিদিন অন্তত ২৭৫ থেকে ৩৫০টি কাঁচা মালের ট্রাক ঘাট পাড় হয়ে থাকে। ৭/৮ বছর আগেও যার সংসারে নুন আনতে পানতা ফুড়াতো, তার এখন রয়েছে ২টি বাড়ি একটি দেবগ্রাম ইউনিয়নে, আরেকটি আলিশান বাড়ি রয়েছে গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে নুরাল পাগলের বাড়ির পাশে। আবার নিজের নামে ইন্টার ডিসট্রিক ও বালির ট্রাক রয়েছে ৬টি। এই বাড়ি-গাড়ি যা করেছে সবই ট্রাক পরিবহনের দালালি টাকায়। আপন ভাই মিলন
৪/ পরিবহন দালাল- মোস্তফার দ্বায়ীত্বে প্রতিদিন কাঠ, গরু, কাঁচামালসহ বিভিন্ন মালের প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি ট্রাক ঘাট পার হয়ে থাকে।
৫/ পরিবহন দালাল ট্রাক- গোয়া উপঃ আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক মহাম্মদ আলীর দায়ীত্বে রয়েছে প্রায় ২শত ট্রাক।
এমন দালাল আরো আছে, এরা সবাই নুরু মন্ডলের লোক।
কে এই নরু মন্ডল?
যে কিনা- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড লাগিয়ে খুন, ধর্ষন, চাঁদাবাজী, মাদকব্যাবসা, নারী পাচারসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যাহার সাথে তিনি যুক্ত নন। ইনডিফেনডেন্ট টেলিভিশনের তালাশ টিমের প্রতিবেদনে ও বিভিন্ন পত্র-পত্রীকায় বিভিন্ন শিরোনামে দৌলতদিয়া ঘাটের এই শাষকের নাম প্রকাশ পেয়েছে। অতিতের ভয়ংকর বাংলাভাই, খুনি এরশাদ শিকদারকেও হার মানায় এই শাষকের লোমহর্ষক অপকর্মের কাহিনি। যাকে সবাই চেনে, জানে ও মানে, শিশু কিশোর থেকে আবালবৃদ্ধ বয়স পর্য্ন্ত যার কথায় সবাই ওঠে বসে। যার অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এমনকি বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিচার চাইতেও কেউ সাহস করেনা, মামলা করলেও বিচার হয়না। প্রকাশ্যে একজন সমাজ সেবক, ‘ধরি মাছ না ছুই পানি’ প্রবাদ বাক্যের ন্যায়। অপরদিকে অপ্রকাশ্যে একজন ভয়ংকর খুনি, চাঁদাবাজ। যেখানে নিজে এলাকার শতাধিক সন্ডা-গন্ডা রিজার্ভেতো আছেই তার উপর আবার দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার জঙ্গীবাহীনির ও জামাত শিবিরের খুনি ক্যাডররা তার আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায়। তার বিরুদ্ধে যখন কেউ প্রতিবাদ করতে যায় ঠিক তখনই তার আশ্রয়ে থাকা দুরের অজানা-অচেনামূখ ভারাটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা তাকে রাতের আধারে পৃথিবী থেকে সড়িয়ে দেয়। যে হত্যার কোন আলামত প্রমান থাকেনা। নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে তার অপকর্মের বিষয়ে স্থানীয় কোন সাংবাদিক লিখতে সাহস পায়না, লিখলেও হত্যা অথবা মিথ্যা মামলা হয়। কে এই ভয়ংকর অপশক্তিধর ব্যাক্তি ? তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন- রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের, উত্তর দৌলতদিয়ার মাতা-কদবানু বিবি, বাবা-এলেম মন্ডলের ছেলে অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল ওরফে নুরু মন্ডল।
নরুল ইসলাম মন্ডল ওরফে নুরু মন্ডল সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিতি লাভ করায় রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কর্যালয়ে সন্ত্রাস তালিকা বোর্ডে ও গেয়ালন্দ থানায় দীর্ঘদিন ছবি টানানো থাকে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর হতে এই সন্ত্রাসী নুরু মন্ডলের ছবি অপরাধীদের ছবির নোটিশবোর্ডে আর দেখা যায়না।
এই ট্রাক চাঁদাবাজির কারনে দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সংশ্লিষ্ট পরিবহন সেক্টরে আওয়ামী সমর্থন হ্রাস পেতে শুরু করেছে। আওয়ামী সরকারের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ এখনই প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা না নিলে আগামি নির্বাচনে এর প্রভাব পরার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিঙ্গ মহলের ধারনা।
চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলঃ-
দেশ পরিচালনায় স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি দ্বারা পুনরায় সরকার গঠন করতে আগামী সংসদ নির্বাচনে জনসমর্থন সৃষ্টির লক্ষ্যে,- দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশ পথ দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পরিবহনে চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী, পতিতাপল্লির জুয়াড়ু, পতিতা চাঁদাবাজ, মাদকবাজ, ও একাধীক হত্যাসহ সকল অপরাধের গডফাদারদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ২৬শে জুন-১৮ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের উদ্যোগে রাজবাড়ীতে মানব বন্ধন করতে গিয়ে শান্ত-শিষ্ঠ র্যালী চলাকালে রাজবাড়ী বাজারের ৫তলা বিল্ডিংয়ের সামনে নিরিহ আন্দোলন কারীদের ব্যাপক পুলিশি বাধা প্রদান করে পুলিশ।
অপরদিকে, আসছে পবিত্র ঈদুল আযহা-১৮ উপলক্ষে দৌলতদিয়া ঘাটে ভোগান্তি রোধে ১লা আগষ্ট-১৮ বুধবার দুপুরে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা পুলিশের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি তার বক্তব্যে অনেক কথার মধ্যে তিনি বলেন- দক্ষিনাঞ্চলরের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হচ্ছে দৌলতদিয়া ঘাট। এই ঘাট দিয়ে মানুষ যাতে ভালোভাবে বাড়ি যেতে পারে, সেই জন্য সার্বক্ষনিক নজরদারির জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পোশাকধারী পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশ এবং র্যাব ও পুলিশের টহল ব্যবস্থা থাকবে। ঘাটে গরুর গাড়িসহ কোন গাড়িতে চাদাবাজি কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। কেউ চাঁদাবাজি করার চেষ্টা করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। তাছারা ঈদুল আযহার ১০ দিন আগে যেহেতু এই অঞ্চলের হাজার হাজার গরুর গাড়ি বহনকারী ট্রাক রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে যাবে তাই পচনশীল পন্য বাদে সকল প্রকার ট্রাকবন্ধ থাকবে।
* আসছে সংবাদঃ – দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার মাদক ব্যাবসায়ী আয়ুব মেম্বর, মাদক ব্যাবসায়ী মুরাদ (দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুলের পিছনে বাড়ি)সহ আরো মাদক ব্যাসায়ীদের বিষয়ে তৈরি হচ্ছে সংবাদ, চলছে অনুসন্ধান।
* ফেরির তেল চুরির প্রসঙ্গে তৈরি হচ্ছে সংবাদ, চলছে অনুসন্ধান।
দেখতে চোখ রাখুন “জনতার মেইল.কম”এ।