আজ : মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়া ঘাটে পরিবহনে চাঁদাবাজির কারনে নষ্ট হচ্ছে সরকারের ভাবমূর্তি-রাজবাড়ীর এসপি


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৮:৪৫ অপরাহ্ণ ,২৫ জুলাই, ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪৮ অপরাহ্ণ ,২৫ জুলাই, ২০১৮
দৌলতদিয়া ঘাটে পরিবহনে চাঁদাবাজির কারনে নষ্ট হচ্ছে সরকারের ভাবমূর্তি-রাজবাড়ীর এসপি

গোয়ালন্দ উপজেলা সংবাদদাতা ।। দৌলতদিয়া ঘাটে পরিবহন সেক্টরে প্রায়ই চাঁদাবাজির অভিযোগ শোনা যায়। ঘাট দিয়ে পারাপার হওয়া যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। এই চাঁদাবাজির কারনে এ এলাকার ও সরকারের প্রচন্ড রকমের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সরকার বিগত বছর গুলোতে এ এলাকার জন্য অনেক কাজ করেছে। তাই সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এ ধরনের কর্মকান্ড প্রতিরোধে সম্মিলিত ভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় পুলিশ কঠোর হতে বাধ্য হবে, তখন কিন্ত পরিস্থিতি সুখকর হবে না।বিভিন্ন যানবাহন থেকে এ ধরনের চাঁদাবাজী ও অপতৎপরতা কোন ভাবেই মেনে নেয়া হবে না।

রাজবাড়ী জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের আয়োজনে ২৪শে জুলাই-১৮ মঙ্গলবার বিকেলে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া রেষ্টহাউজ চত্ত্বরে ‘পরিবহন সেক্টর কমিউনিটি পুলিশিং’ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি এসব কথা বলেন।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, ঈদের সময় ঘাটে বাড়তি চাপ সামাল দিতে মানবিক কারণে যাত্রীবাহি মাহেন্দ্রকে ঘাট এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু সামনের ঈদে অবশ্যই তাদেরকে স্থানীয় পৌর বা ইউপি কর্তৃপক্ষ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন ভাবেই গাড়ি চালাতে দেয়া হবে না। নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি রাখতে হবে, এর জন্য আমি ফেরি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব। তিনি আরো বলেন, মহাসড়কে চলাচলকারী অনেক যানবাহন চালকদের ট্রাফিক আইন জানা ও মানা জরুরী।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) মোঃ আছাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় এ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাকিব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল করিম পিপিএম, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবুল হোসেন, মৃদুল রঞ্জন দাস, বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম, গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সাধারন সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম মন্ডল, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হাসান, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মির্জা আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদ মোল্লা প্রমুখ।

আলোচনা সভার আগে, রাজবাড়ী জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের আয়োজনে ও ‘পরিবহন সেক্টর কমিউনিটি পুলিশিং’ এর ব্যানারে এবং এসপি আসমা সিদ্দিকা মিলি’র নেতৃত্বে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ট্রাফিক আইন সচেতনতায় বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়।
র‌্যালীটি দৌলতদিয়া রেস্ট হাউজ চত্বর থেকে বের হয়ে ঘাট এলাকাসহ ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয় এবং সেখানে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পরিবহনে চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী, পতিতাপল্লির জুয়াড়ু, পতিতা চাঁদাবাজ, মাদকবাজ, ও একাধীক হত্যাসহ সকল অপরাধের গডফাদারদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে- গত ২৬শে জুন-১৮ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের উদ্যোগে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে মানব বন্ধন করতে যাওয়া শান্ত-শিষ্ঠভাবে একটি বিক্ষোভ মিছিল র‌্যালী চলাকালে রাজবাড়ী বাজারের ৫তলা বিল্ডিংয়ের সামনে ব্যাপক পুলিশি বাধার সন্মূখীন হয় প্রতিবাদী নিরিহ আন্দোলন কারীরা।
মিছিলকারীদের উপর চোখ রাঙ্গিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন পর্যন্ত কেরে নিয়ে অপরাধীদের সহায়তা করেছিলেন সেদিনের সেই বাধাদানকারী পুলিশরা।
শুধু তাই নয়, জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদানে ও মানব বন্ধন কর্মসূচিতেও বাঁধা প্রদান করেছিল পুলিশ। এই প্রসঙ্গে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্যও সাংবাদিককেও হুমকি প্রদান করেন এ সকল পুলিশরা।

অবাক বিষয় হলো, আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বারং বার যেখানে বলেছেন- অপরাধী যে দলেরই হোক বা সে যে ব্যাক্তি হোক না কেন? কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা, সবারই বিচার হবে। এছাড়াও দেশের অপরাধ দমনের জন্য তিনি সকলের সহযোগীতাও চেয়েছেন।
আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় সরকারের এমন সহযোগীতা করতে যাওয়া নিরিহ আন্দোলনকারীদের যে খানে পুলিশের সহযোগীতা করার কথা, কিন্তু সেখানে পুলিশ সেটা না করে উল্টো নিরিহ আন্দোলনকারীদে উপর আক্রমনাত্নক ভাবে বাধা সৃষ্টি করে চোখ রাঙ্গিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিলো বর্তমানের সভ্য দেশের সভ্য পুলিশরা। এ অপ্রত্যাশিত বিষয়টি বোধগম্য নয় সচেতন জন সাধারনের। অপরাধীদের সহায়তার জন্য এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে পারে শুধু স্বাধীনতা বিরোধী মনোভাবাপন্ন বিবেক বিকৃত পুলিশরাই বলে মনে করেন আজকের সভ্য সমাজের সচেতন মহল।

আন্দোলনকারীদের স্মারকলিপিতে যা ছিল হুবহু তুলে ধরা হলো-                                                                                     স্মারক লিপি

বরাবর,
জেলা প্রশাসক, রাজবাড়ী।

বাংলাদেশের সকল ভূমিহীন কৃষকদের ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের পূনর্বাসন করতে হবে। কৃষকের কৃষি ঋন মওকুফ করতে হবে।
রাজবাড়ী জেলার রেল লাইন ও বেড়িবাধের বসবাসরত সকল হত দরিদ্র অসহায় মানুষদের পূনর্বাসন করতে হবে। ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে খাস জমি উদ্ধার করে প্রকৃত ভূমিহীন যারা তাদের মাঝে সুষ্ঠ বন্টন করতে হবে। বাংলাদেশের ব্যাংক লুটকারীদের চিন্হিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
দেশ পরিচালনায় স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি দ্বারা পুনরায় সরকার গঠন করতে আগামী সংসদ নির্বাচনে জনসমর্থন সৃষ্টির লক্ষ্যে- দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশ পথ দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পরিবহনে চাঁদাবাজী, পতিতাপল্লির জুয়াড়ু, মাদকবাজ, পতিতালয়ে চাঁদাবাজী এবং সরকারী অর্থ ফেরি পারাপারের) আত্নসাৎ ও একাধিক হত্যার অপরাধে অপরাধীদের গ্রেফতার ও বিচার চাই।

পতিতা পল্লির অপরাধ,
নবযুগের নতুন প্রভাতে পৃথিবীর দিকে দিকে নারী-প্রগতির জয়ধ্বনি ঘোষিত হলেও, দৌলতদিয়া পতিতালয়ের প্রায় পাঁচ হাজার নারী যৌন-কর্মীর স্বতন্ত্র সত্ত্বা আর আপন ভাগ্যকে জয় করার দূর্লভ অধিকারকে গলা টিপে হত্যা করছে পতিতালয়ের চাঁদাবাজরা।
মাত্র দু’শ থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে মনের সকল অনিচ্ছাসত্বেও নারীর সর্বোচ্চ মূল্যবান সম্পদ সম্ভ্রম বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে । আশ্চর্যের বিষয় হলেও সত্য যেখানে-১৮ বছরের নিচে কোন নারী যৌন কর্মে লিপ্ত হতে পারবে না । সেখানে আইনানুগ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও শতাধিকেরও বেশী কিশোরীকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে জোরপূর্বক যৌনকর্মে লিপ্ত হতে বাধ্য করা হচ্ছে । পল্লীর প্রত্যেক নারীর মাথাপ্রতি পল্লির সর্দার তোফাজ্জেল হোসেন তপুকে মাসিক ১০০০/২০০০ টাকা দিতে হয় । অল্প বয়সী চাহিদাওয়ালা মেয়েদের জন্য আরো বেশি টাকা দিতে হয় । অবোলা নারী জাতীর বাধ্যতামূলক সম্ভ্রম বিক্রি করা অর্থের ভাগ পায়…।
তোফাজ্জেল হোসেন তপু হলো, গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম মন্ডল ওরফে নুরু মন্ডলের মামা।
পতিতা পল্লিতে জুয়া ও মাদক ।
আবার সারা দিন সেখানে চলে তাস খেলা আর রাতে চলে খড়গুটি, চড়কি, সহ বিভিন্ন ধরনের জুয়া। মানুষের মাথায় বাড়ি দিয়ে এই জুয়া থেকে প্রতিধিন অন্তত ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জুয়াড়ুরা। জুয়া খেলে খেলে হাজারো মানুষ নিস্ব হয়ে ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে। মানুষের ধ্বংসের পথ থেকে ফেরাতে বন্ধ করতে হবে জুয়া খেলা গ্রেফতার করতে হবে জুয়াড়ুদের। আবার সেখানে রয়েছে একাধিক মাদক বিক্রির দোকান। প্রকাশ্যে/অপ্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন মাদক। নিরাপদে মাদক সেবনের জন্য সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে যুব সমাজ। পতিতালয়ের মধ্যে যারা জুয়ার বোর্ড(আসর)চালায়, পতিতাদের থেকে যারা চাঁদাবাজী করে, তারাই তারাই মাদক ব্যাবসা করে।
উপরোক্ত সকল প্রকার অপরাধের পরিচালক হচ্ছে, গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম মন্ডল ওরফে নুরু মন্ডল এর মামা তোফাজ্জেল হোসেন তপু ।
পতিতা পল্লির এই চাঁদাবাজ, জুয়াড়ু ও মাদক ব্যাবসায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার ও মৃত্যু দনন্ডের দাবি জানাচ্ছি।

দৌলতদিয়া ঘাটে পরিবহন চাঁদাবাজী ও সরকারী টাকা আত্নসাত,
দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ছোট বড় অন্তত ৮/৯ হাজার যান পারাপার হয়ে থাকে । ট্রাক ড্রাইভারদের জিম্বি করে তাদের নিকট থেকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা বেশি নিয়ে ফেরি পারাপারের টিকিট কেটে দেয় দালালরা । জানাযায়, প্রতিটি ট্রাকের টিকিট কাটতে হচ্ছে সরকারী নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৮০০ থেকে ১৫০০টাকা বেশী দিয়ে । আবার ৫২ সিটের বাস পরিপহনের টিকিট মূল্য ১,৯,৫০/= টাকা । ছোট বাস পরিবহনের টিকিট মূল্য ১,৪০০/= । ৫২ সিটের বাস পরিপহনের থেকে ১৮/১৯শত টাকা নিয়ে ১৪শত টাকার টিকেট কেটে দেয় । প্রতিটি বড় বাস থেকে ৫শত টাকা হারে অন্তত ৪/৫ হাজার বাস থেকে এমন অবৈধ ভাবে টাকা আয় করছে, এগুলো সরকারী টাকা আত্নসাৎ করছে চাঁদাবাজরা । ট্রাক টিকেট থেকে অতিরিক্ত(চাঁদা) টাকা ও আত্নসাৎকৃত সরকারী টাকা মিলে প্রতিদিন অন্তত ৩০/৪০ লাখ টাকা লুটে নিচ্ছে পরিবহন চাঁদাবাজরা।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ফেরি পারাপারে চাঁদাবাজির দ্বায়িত্বে রয়েছে- গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম মন্ডল ওরফে নুরু মন্ডলের লোকজন।
এই পরিবহন চাঁদাবাজির কারনে দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সংশ্লিষ্ট পরিবহন সেক্টরে আওয়ামী সমর্থন হ্রাস পেতে শুরু করেছে। আওয়ামীলীগ সরকারের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ এখনই প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা না নিলে আগামি নির্বাচনে এর প্রভাব পরার শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে।
সরকারের সুনাম খুন্নকারী চক্রের হোতা দৌলতদিয়া ঘাটের পরিবহন চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

পরিবহনে চাঁদাবাজী ও পতিতা পল্লির অপরাধ নির্মূল পদ্ধতি,
আমাদের দাবী হচ্ছে- অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের এবং পতিতাবৃত্তি অনেচ্ছুক নারীদের পতিতা পল্লি থেকে উদ্ধার করা হোক। তাদের থেকে চাঁদাবাজী বন্ধকরে তাদের স্বাধীনতা দেওয়া হোক। তারা স্বাধীনতা পেলে অল্পকিছুদিনেই স্বাবলম্বী হয়ে বাইরের জগৎে ফিরে এসে ব্যাবসা-বানিজ্য করে অন্ধকার পথ থেকে আলোর পথে ফিরে আসতে পারবে। পতিতাদের দেশে গার্মেন্টেসে চাকরীর করার জন্য বাধ্য করা হোক। বিদেশে কর্মের ব্যাবস্থা করে সরকারী খরচে পতিতাদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হোক। বিদেশের আয়কৃত টাকার রেমিটেন্স বারবে সরকারের। এতে একদিকে দেশের অর্থ বৃদ্ধি হবে, অপর দিকে পতিতা বিলুপ্তি হয়ে অপরাধ হ্রাস পাবে। উন্নত হবে দেশের সমাজ ব্যাবস্থা।

অপরদিকে, দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার জনসাধারনের একটাই দাবি- পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে পদ্মা সেতু চাই। এই সেতু নির্মান হলে বন্ধ হবে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ, উচ্ছেদ হবে পতিতা পল্লি, বন্ধ হবে জুয়া, নির্মুল হবে মাদক বিক্রি ও সেবন।
অপরদিকে, গড়ে উঠবে শিল্প-কারখানা। তৈরি হবে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান, হ্রাস পাবে বেকারত্ব, পরিনত হবে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের মধ্যম আয়ের দেশ।
এই সেতু নির্মানের আগ পর্যন্ত যে কোন মূল্যে দৌলতদিয়া ঘাটের এই চাঁদাবাজী বন্ধকরতেই হবে ।

সংশ্লিষ্ট জেলার স্বাধীনতার পক্ষের সাধারন মানুষের মন্তব্য
যদি এ সকল অপরাধিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় দলীয় ও আইনগত ব্যাবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে আমরা সাধারন মানুষরা মনে করবো যে- যারা ইচ্ছা করলে বন্ধ করতে পারে পতিতা পল্লির জুয়া, নির্মুল করতে পারে মাদক বিক্রি ও সেবন, বন্ধ করতে পারে পরিহনে চাঁদাবাজী নির্মূল করতে পারে সন্ত্রাস। কিন্ত সেটা না করে উল্টো তারাই মদদ দিয়ে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

Comments

comments