স্টাফ রিপোর্টার।। জীবিকার খোঁজে সৌদি আরব পাড়ি জমানো অনেক বাংলাদেশী প্রবাসীরা কাজ না পেয়ে নানামুখী সংকটে খেয়ে না খেয়ে হতাশা ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
জানা গেছে, রাজবাড়ী জেলা সদরের বরাট ইউনিয়নের লালগোলা গ্রামের মোঃ ময়েন খান নামের এক ব্যক্তি চলতি মাসের ১৩ আগষ্টে কাজের ভিসা নিয়ে সৌদি আরব (রিয়াদ) গেছেন। দেশে সে কাঠমিস্ত্রির কাজ করত। বেশি টাকা ইনকাম করার আশায়। রাজবাড়ীর মুসা নামের এক আদম ব্যবসায়ীর হাতে নগদ ৩ লাখ ৬০ হাজর টাকা দিয়ে ঢাকার মাইশা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের এক কোম্পানির মাধ্যম ময়েন সৌদি আরব গেছে। সেখানে সে গত ২ সপ্তাহ ধরে সৌদি রিয়াদে এক ঘরের মধ্যে বেকার বসে আছে। কোম্পানির কাজ দেওয়ার কথা থাকলেও তাকে দিচ্ছে না কোন কাজ। কাজ না পাওয়ায় ময়েন ভাবছে সে প্রতারণার শিকার হয়েছে। যার কারনে সে হতাশাগ্রস্ত হয়ে অসুস্থতার দিকে ধাবিত হচ্ছে, এভাবে আর দুই/এক সপ্তাহ কাজ না পেলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে ময়েন।
এ বিষয়টি সৌদি আরব থেকে ময়েন মুঠোফোনে বাঙালী সময়ের এ প্রতিবেদকে বলেন, নগদ ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে রাজবাড়ীর মুসার মাধ্যমে ও ঢাকার মাইশা কোম্পানির মাধ্যমে আমি সৌদি আরব এসেছি প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে। মুসা বলেছিল সৌদি পৌছানোর সাথে সাথেই কোম্পানি ভাল বেতনে ভাল কাজ দেবে। এখন তারা আমার কোন কাজ দিচ্ছে না এখানে হাজার হাজার লোক আমরা বেকার বসে আছি। কাজ কি পাবো নাকি পাবো না! এটা ভেবে সবাই হতাশা ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেই কান্নাকাটি করছে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য, কিন্তু যেতেও পারছে না। আমি এখানে আনোয়ার সাপ্লাই কোম্পানির আশ্রয়ে বসে আছি। আমার তো সাপ্লাই কোম্পানিতে দেওয়ার কথা ছিল না। এখন বুঝতে পারছি মুসা আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমি বাঁচতে চাই, হয় এখানে কাজ চাই, নয়তো বাড়িতে ফিরে যেতে চাই।
৩০ আগষ্ট দুপুরে আদম ব্যবসায়ী মুসা মুঠোফোনে বলেন, ময়েন কাজ পাবে চিন্তার কোন কারণ নেই। কবে কাজ পাবে প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কবে কাজ পাবে এটা বলা যাবে না, তবে কাজ পাবে সমস্যা নাই। তাছাড়া ও থাকছে খাচ্ছে কোম্পানির টাকায়, ও কাজ দেরিতে পেলে সমস্যা কি। তবে যেদিনই হোক কাজ পাবে একথা বলে ফোন কেটে দেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।