স্টাফ রিপোর্টার।। রাজবাড়ীর শহর রক্ষা বেরিবাঁধ এবং নদী সংলগ্ন স্কুল, মাদ্রাসা, হাট-বাজার, কৃষি জমি ও বসতবাড়ী রক্ষার্থে ইজারাকৃত বালু মহলের বাহিরে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবীতে বালু মাফিয়াদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে বরাট ইউনিয়নের নদী তিরবর্তী বাসিন্দারা।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়ন বাসীর আয়োজনে শনিবার (২৯ অক্টোবর-২২) সকাল ৯.টা হতে ১১ টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী উড়াকান্দা নদীর পাড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তার বলেছেন- সরকারিভাবে চর ইজারা দেওয়া হয়েছে মিজানপুর ইউনিয়নের মধ্যে। রাজবাড়ী জেলা সদরের মিজানপুর ইউনিয়নের জৌকুড়া-ধাওয়াপাড়া এলাকার- চর জাজিরা, চর নরসিংহদিয়া ও খাস চরপদ্মা মৌজার ৩ টি বালু মহল ইজারা দেওয়া হয়েছে। অথচ তাহার বাহিরে- চর ছিলিমপুর, মৌকুরী, চর কাটুরী মৌজা সহ অন্যান্য মৌজায় তো আছেই তার উপর আবার বরাট ইউনিয়নের লালগোলা হতে দেবগ্রাম ইউনিয়ন পর্যন্ত পদ্মা নদীতে ড্রেজার দ্বারা অবৈধভাবে বালি উত্তলোন করে চলেছে ইজারাদাররা। সরকারের নির্ধারিত পরিমাপের চেয়ে অতিরিক্ত বালু উত্তোলন করাও অবৈধ।
বক্তারা বলেন, অবৈধ ও অপিরকল্পিতভাবে বালি উত্তোলনের ফলে গত কয়েকবছরে রাজবাড়ীতে ব্যাপক আকারে নদী ভাঙন হয়েছে। শহরের নিকটবর্তী লাল গোলা থেকে অন্তারমোড় পর্যন্ত বহু স্থাপনা ও কৃষি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। এখন হুমকিতে রয়েছে শহর রক্ষা বাঁধসহ স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাট বাজারসহ ফসলি জমি। চর জেগে ওঠার আগেই তা কেটে ফেলায় মুল নদী এখন বেরি বাঁধের সাথে। সরকার ৩শ কোটি টাকার বেশি খরচ করে বাঁধ নির্মান করছে। কিন্তু অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় সেটিও আজ হুসকির মুখে। স্কুল, মসজিদ-মাদ্রাসা ও হাট-বাজার না থাকলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হবে। কিন্তু চাইলেই এ গুলো স্থাপন করা সম্ভব না।
অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলনের নেতৃত্বে রয়েছে বালু মাফিয়া চক্রের অন্যতম যুবলীগ নেতা ইজারাদার মুস্তাফিজুর রহমান শরীফ ও আওয়ামীলীগ নেতা ইজারাদার দিপক কুন্ডু। কিন্তু প্রশাসন সেটা জেনেও স্থায়ীভাবে বন্ধ না করে জনসাধারণের সলিম বুঝ দেওয়ার জন্য মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে ২/৪টি ড্রেজার জব্দ করে জরিমানা করে ছেড়ে দেয়। ছাড়া পেয়ে তারা আবার কাটা শুরু করে।
বক্তারা বলেন, প্রশাসন যেখানে জঙ্গীবাদ, চরমপন্থী ও সন্ত্রাস নির্মূলে সফল, আর আজ সেখানে তারা বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বালু মাফিয়াদের কাছে অসহায়। দিনের পর দিন অভিযোগ দেওয়া ও মানববন্ধন করে জানানো সত্বেও অবৈধ বালু উত্তেলোন যেন বন্ধ করতেই পারছেনা তারা।
বক্তারা আরো বলেন, অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে আগামীতে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সমাজ ও দেশের স্বার্থে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আগামীতে ডিসি অফিস ঘেরাও করা হবে এবং বালি কাটা বাঁধা দিতে প্রয়োজনে জনসাধারণ নদীতে নামতে বাধ্য হবে বলেও তারা হুশিয়ার উচ্চারন করেন। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বত্তব্য রাখেন- বরাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মনিরুজ্জামান সালাম, ইউনিয়ন কৃষক লীগ সভাপতি কাদের মুন্সী, কৃষক মুক্তি সংগ্রামের আহ্বায়ক শামসুল হক, বরাট ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আশরাফ আলী খান, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইউনুছ আলী শেখ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম শেখ, ওয়ার্কাস পার্টির নেতা শফিকুল ইসলাম শফি, ইকবাল হোসেন, ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. আরজু প্রমূখ।
https://janotarmail.com/news/15319/
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।