আজ : রবিবার, ১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ী চরশ্যাম নগর দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষক ভূয়া সনদে চাকুরীচ্যুত হয়েও, সে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি!


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৬:২০ অপরাহ্ণ ,১১ আগস্ট, ২০২২ | আপডেট: ১:৩৮ পূর্বাহ্ণ ,১৩ আগস্ট, ২০২২
রাজবাড়ী চরশ্যাম নগর দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষক ভূয়া সনদে চাকুরীচ্যুত হয়েও, সে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি!

নিজেস্ব প্রতিনিধি॥  রাজবাড়ী সদর সুলতানপুর চরশ্যাম নগর দাখিল মাদ্রাসার বির্তকিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জালালউদ্দিন মোল্যার বিরুদ্ধে ভূয়াঁ সাটিফিকেটে চাকুরী, সরকারী অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম-দূর্নীতির লিখিত অভিযোগ দায়ের খবর পাওয়া গেছে। গত ০৫/০৭/২২ইং ইংরাজী তারিখে অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী এই অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চরশ্যাম নগর দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা ছব্দার হোসেন মোল্যর ছেলে ওরফে প্রক্তান ইউপি চেয়ারম্যান জালালউদ্দিন মোল্যা। তিনি  ভূয়াঁ সনদে চরশ্যাম নগর দাখিল মাদ্রাসার জুনিয়ার শিক্ষক ছিলেন। মিনিষ্টারী অডিট কমিটির তদন্তে ১৯৯৪ইং সালে তিনি চাকুরীচুত হন। চাকুরী জীবনে উত্তলনকৃত সরকারী যাবতীয় বেতনের টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে তৎকালীন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রতারণা মামলা করা থেকে বিরত থাকেন বলে জানা যায়। জরুরী ভিত্তীতে সরকারী টাকা ফেরত দেওয়ার তাগিদ এবং নির্দেশনা দিয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠি প্রেরন করা হয়। যার স্মারক নং-৮৫৯৪/৪, তারিখ ১৮/০৫/৯৪ইং। ফেরত যোগ্য ৮৪,০০০/= হাজার টাকা পরিশোধ পূর্বক মাদ্রাসা সুপার কর্তৃক সংশ্লিষ্ট দপ্তর বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা থাকাসত্তেও তিনি অদ্যবধি উক্ত টাকা প্ররিশোধ করেন নাই।

  দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত মাদ্রাসা সুপারের সাথে যোগসাজসে তিনি উক্ত উত্তলনকৃত টাকা পরিশোধ না করার পায়তারা করে আসছেন। প্রতি বছর মিনিষ্টারী অডিট টিম উক্ত টাকা ফেরত না দেওয়ার কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  এমপিও বন্ধ হওয়ার হুমকিতে পরতে হয় বলে সূত্রটি দাবী করেন। তথাপিও প্রতারক জালাল উদ্দিন মোল্যা সরকারী টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো মাদ্রাসার সভাপতির পদ দখলে নিয়ে শিক্ষকদের ওপর তাফালিং করছেন। সভাপতি শিক্ষায় অশিক্ষিত হলেও মাষ্টারদের ওপর খবরদারীতে পাকা। দিনের বেশীর ভাগ সময়ই তিনি মাদ্রাসায় অফিস কক্ষে অবস্থান করেন। মাদ্রাসা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করে টাকা দাবী করা হয়। টাকা না দিলে সাময়ীক বহিস্কার করার হুমকি দেওয়া হয়। প্রকাশ থাকে যে, কয়েক বছর আগে মাদ্রাসার সুপার কামরুজ্জামানকে অহেতুক সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়। আবার মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উক্ত সুপারকে পুনরায় চাকুরীতে বহাল করার হয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক এ অভিযোগ করেন।

   এ বিষয়ে সরেজমিনে এলাকাবাসী ও বেশ কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানতে চাইলে, তারা জানান- উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসকসহ শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, জালাল মোল্যার অনিয়ম-দূর্নীতি, সরকারী অর্থ আত্মসাতসহ মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট ও ষড়যন্ত্রকারী-বির্তকিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছি। কিন্ত অদ্যবধি কোন তদন্ত কর্মকর্তা অত্র মাদ্রাসায় আসেন নাই মর্মে তারা দাবী করেন।

 এ বিষয়ে, জালাল মোল্যার মুঠো ফোনে জানতে চাইলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- চাকুরী তিনি নিজেই রিজাইন দিয়েছেন, তিনি তার কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ চরশ্যাম নগর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি হয়েছেন, তার কাছে এটি বড় অর্জন বলে তিনি দাবী করেন।

  এ ব্যপারে ইউএনও অফিসের অফিস সহকারী রায়হান অভিযোগ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেন। অভিযোগটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের জন্য প্রেরন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

  এ অভিযোগের বিষয় নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ইকবাল হোসেনের নিকট জানতে চাইলে, অভিযোগ তিনি পেয়েছেন, কিন্ত অভিযোগটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর না থাকায় তিনি তদন্ত কাজ শুরু করেন নাই বলে জানান তিনি

Comments

comments