ফোনে ১লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করায় পুলিশের ফাঁদে আটক গোয়ালন্দের ৩ যুবক
প্রকাশিত: ৪:৩১ অপরাহ্ণ ,৯ জুলাই, ২০২২ | আপডেট: ২:৩৪ পূর্বাহ্ণ ,১২ জুলাই, ২০২২
গোয়ালন্দ সংবাদদাতা।। ব্যাবসায়িক মালামাল বোঝাই একটি অটোরিকশা আটকিয়ে ও চালককে জিম্মি করে মুঠোফনে ব্যাবসায়ির নিকট চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে নাতে গ্রেফতার হয়েছে কৃষকলীগ নেতাসহ ৩ যুবক। এ ঘটনায়, গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- গোয়ালন্দ পৌরসভার দেওয়ানপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মোঃ ফরিদ শেখ (৩৫), জুরান মোল্লার পাড়া গ্রামের মৃত আঃ জলিল মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া (৩৫) ও কুমড়াকান্দি গ্রামের মৃত জনাব আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (৩৫)। “এদের মধ্যে- হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব।”
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর বাজারের ব্যাবসায়ী আহসান হোসেন (৪২) গোয়ালন্দ বাজারের নাজিয়া ট্রান্সপোর্ট থেকে তার ব্যাবসায়িক মালামাল একটি অটোরিকশা যোগে খানখানাপুর নিয়ে যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি গোয়ালন্দ শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে দূর্ধর্ষ চাঁদাবাদ, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী
ফরিদ শেখ, মিলন মিয়া ও হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব সহ ৫ জন যুবক অটোরিকশাটিকে আটকে স্কুলের পিছনে চিপা গলিতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা অটোচালক মামুনের নিকট ঈদ উপলক্ষে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। অটোরিকশা চালক মালের মালিক নন জানিয়ে টাকা দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করেন। এতে ওই যুবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কিল-ঘুষি মারে এবং টাকার জন্য মালের মালিক আহসানকে ফোন দিতে বলে। সে সময় কল করায় আহসান ফোন রিসিভ করলে তাকে দ্রুত ০১৭১৬-৮৫৮৬৮৫ নাম্বারে ১ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে অটোচালক ও মালামাল ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়।
মালিক আহসান তৎক্ষনাৎ বিষয়টি গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশকে জানান। থানার এসআই দেওয়ান শামীম মালের মালিক সেজে ফোনে চাঁদার টাকা পরিশোধের কথা বলে কৌশলে ঘটনাস্থলে পৌছেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আফজাল বিশ্বাস (৩০) ও মতিউর রহমান (৩০) নামের দুই যুবক ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে হাতেনাতে আটক হয় উপরোক্ত ৩ যুবক। পরে তাদেরকে মালামাল সহ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ ঘটনায়, ব্যাবসায়ী আহসান হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার ৮/৭/২০২২ তারিখ রাতে ৫ জনকে আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গোয়ালন্দঘাট থানার মামলা নং-১৫। ধারা-১৪৩/৩৪১/৩৮৫/৩২৩/৫০৬ পেনাল কোড।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন- এ ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ৩ যুবককে শনিবার আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক দুই যুবককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো জানান- ধৃত আসামী ফরিদ এর বিরুদ্ধে পূর্বে ২ টি এবং আসামী হাবিবের বিরুদ্ধে পূর্বে ২ টি মামলা রয়েছে।