বিধান কুমার।। রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ঘুঘুশাইল গ্রামের ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অর্থের লোভ ও পর্নো ভিডিও দেখিয়ে চতুর্থ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সর্বশেষে গত ২২ জুন ওই শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন- কৃষক মিন্টু বিশ্বাস (৪৫), আমিরুল ইসলাম (৩৭), ও ঝাল মুড়ি বিক্রেতা আলেক মোল্লা (৪২)। তাঁরা সবাই ঘুঘুশাইল গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার মায়ের অভিযোগে জানা যায়, আলেক মোল্লা ফুচকা ও ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। তাঁর সঙ্গে স্কুলের শিশুদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ধর্ষণের শিকার ওই শিশুকে তিনি বিনামূল্যে ফুচকা ও ঝালমুড়ি খাওয়াতেন। এরপর আদর দিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মুঠোফোনে পর্নো ভিডিও দেখিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা ও পাশবিক নির্যাতন করেন। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য ওই ছাত্রীকে ধারালো অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখানো হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর কয়েকজন সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আলেক মোল্লা তাঁদের সামনে দিয়ে ওই শিশুকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তার বাড়ির সামনে গিয়ে ওই ছাত্রীকে অনেকবার নাম ধরে ডাকা ডাকি করে। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তারা ক্লাসে ফিরে যায়।
শিশুটির নানী বলেন- আমার নাতনি আমাদের বাড়িতে থেকেই পড়ালেখা করে। সে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। তাকে একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। প্রথমে চেষ্টা করে আলেক মোল্লা দ্বিতীয় বার মিন্টু বিশ্বাস ও তৃতীয়বার আমিরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর মামা জিল্লু মন্ডল বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেছে।
অভিযুক্ত আলেক মোল্লা আত্মগোপনে রয়েছে, মিন্টু অভিযোগ অস্বীকার করলেও তবে তাকে বিভিন্ন সময় অর্থ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন এবং আমিরুল ইসলাম এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলেও তিনি দাবী করছেন।
ঘুঘুশাইল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বলেন- প্রাথমিক ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের মুখে শোনার পরে আমার বিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী শিক্ষক পাঠিয়েছিলাম ঐ ছাত্রীর বাড়িতে। পরে সহকারী শিক্ষকদের কাছে ঐ ছাত্রী ঘটনার কথা শিকার করেছে।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন জনতার মেইলকে বলেন- রাজবাড়ী সদর থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। আমরা আসামিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।