স্টাফ রিপোর্টার।। রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মূলঘর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোঃ ওহিদুজ্জামানের ছেলে হিমেল(২৩) এর বিরুদ্ধে ফরিদপুরের এক তরুনীকে ধর্ষন এবং ইউপি চেয়ারম্যান সহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা ও মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  এ ঘটনায় ওই তরুনীর মা বাদী হয়ে রাজবাড়ীর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনালে ৩ জন কে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার অভিযোগে বর্ণিত, তার মেয়ের সাথে চেয়ারম্যানের ছেলে হিমেলের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। উভয় পক্ষের মধ্যে বিয়ের কথা হওয়ার পর বেশ কয়েকবার ওই তরুনীকে হিমেল ঘুরতে নিয়ে যায়। এর মধ্যে তরুনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে হিমেল একাধিকবার ধর্ষণও করে।

গত সোমবার (২০শে জুন-২২) চেয়ারম্যানের ছেলে হিমেল ওই তরুনীর বাড়ী থেকে প্রাইভেটকার নিয়ে বিবাহের কথা বলে বেলা ১২ টার দিকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে। সাথে ওই তরুনীর ছোট বোনকেও নিয়ে আসে, ছোট বোনকে ড্রইংরুমে বসিয়ে রেখে পাশের রুমে নিয়ে ওই তরুনীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে (মামলার আসামী) হিমেল ধর্ষন করে। ওই দিন রাত ৮ টার দিকে ওই তরুনী হিমেলকে বিবাহের চাপ দিলে, সে সময় হিমেল ও তার পরিবারের সকলে মিলে তাকে এলোপাথারি মারধর করে ও বাড়ী থেকে বেড় করে দেয়ার চেষ্টা করে। ওই তরুনী বাড়ী থেকে যেতে অস্বীকৃতি জানালে হত্যা করার হুমকী দেয়। পরে ওই তরুনীর মামাকে ফোন করলে তার মামা এসে উদ্ধার করে ওই তরুনীকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের ১৬ নং বেডে ভর্তি করে চিকিৎসা করান। মামলায় আরোও উল্লেখ করা হয় যে, রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করা হয়।

এ ব্যাপারে, রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন- ওই তরুনীর মামা একটা অভিযোগ দিয়েছিলো, ভিকটিমকে সহ আসতে বলেছি, সে আর থানায় আসেনি। ঘটনা শুনে থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়েছে, আর থানায় সবারই অভিযোগ নেওয়া হয়। থানার দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত। হাসপাতালে গিয়েছিলেন সদর থানার এসআই মুরাদ। তিনি বলেন- ওই তরুনীর মায়ের সাথে কথা বলেছি, তরুনীর মা বলেন, আসামী হিমেলের সাথে তার মেয়ের আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল।

এ বিষয়ে, ধর্ষণ ঘটনায় অভিযুক্ত হিমেলের পিতা মুলঘর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোঃ ওহিদুজ্জামান বলেন- অনেক আগে একবার আমরা যখন ঢাকায় গিয়েছিলাম শুনেছি ওই মেয়ে আমাদের বাড়ীতে এসেছিলো, এক রাত থেকে চলে গেছে। গত সোমবার ঘটনার দিন ওই মেয়ে পূনরায় আমার বাড়ীতে আসে আমি জানতাম না। মেয়ে দাবী করে যে আমি আপনাদের বাড়ী থেকে যাবনা। আপনার ছেলের সাথে আমার বিয়ের কথা, আপনার ছেলে আমাকে বিয়ে করবে বলেছে, তখন আমি মেয়েকে চলে যেতে বলেছি। তার গায়ে কোন আঘাত করা হয় নি। তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে একজন মাদক সেবী, সে গত রোজার ঈদের আগে থেকেই মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে থাকে। আমার ছেলে ওই মেয়েকে কিভাবে উঠিয়ে আনবে? আমাকে ও আমার দুই ছেলেকে আসামী করে আদালতে মামলা করেছে, শুনেছি। মূলতঃ আমার বিরোধী পক্ষের লোকজন আমার সন্মান হানির জন্য এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।