প্রিন্ট এর তারিখঃ জানুয়ারী ৩, ২০২৫, ১:৩১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ৫, ২০২১, ৭:২৩ অপরাহ্ণ
পাংশা মৌরাট ইউপির দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যান নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বোমা ফাটিয়ে আনন্দ উল্লাস, আতঙ্কে এলাকাবাসী।
বিধান কুমার ।। রাজবাড়ীর পাংশায় মৌরাট ইউপির দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যান নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বোমা ফাটিয়ে আনন্দ উল্লাস করার সময় ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে সহ গ্রেপ্তার -৬, আতঙ্কে এলাকাবাসী।শনিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের বাগদুলি বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনের ব্রীজের উপর থেকে ৩ টি হাত বোমাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।তারা হলেন, মৌরাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান প্রামানিকের ছেলে শামীম প্রামানিক (৩৬) ও চরহরিনাডাঙ্গা গ্রামের ইসলাম মন্ডলের ছেলে মো. জালাল মন্ডল (৩০)। গ্রেফতারের পর হতেই ভোটারদের মাঝে আতঙ্কিত ভোটাররা। কেন্দ্রে নিরাপদে ভোট প্রদান করায় বাধাপ্রাপ্ত হবেন না তো?।
এ বিষয়ে, পাংশা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান বলেন, নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার পর ২৫-৩০টি মোটর সাইকেল নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী সরদারের বাড়ীর পাশে ব্রীজের উপর বোমা ফাটিয়ে আনন্দ উল্লাস করার সময় তিনটি হাত বোমাসহ তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলার ৩,৪ ও ৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।পাংশা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বোমা ফাটানোর বিষয়টি জানতে পারি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩টি বোমা সহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় ও একটি বিস্ফোরিত বোমার আলামত পাওয়া যায়।এছাড়াও থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে নিয়মিত মামলার আরোও ৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন, ভাতশালা গ্রামের লতিফ খাঁনের ছেলে সাকিব খান(১৭), চর ঝিকড়ি দোপপাড়া গ্রেমের মোসলেম মোল্লিকের ছেলে সিরাজ মল্লিক (৪৫), চরঝিকরি মধ্যপাড়া রব্বেল শাহ এর ছেলে সুরুজ শাহ (৪৫) ও চরঝিকরি ঢালাপাড়া গ্রামের সামছুল মুন্সীর ছেলে লিটন মুন্সি (৩৫)।গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।
তথ্য সংগ্রহে এই প্রতিবেদক মৌরাট ইউনিয়নে গেলে, ইউনিয়ন বাসি দ্যা ডেইলি ট্রাইবুনালের প্রতিনিধি কে জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান টিআর কাবিটা কর্মসুচির আওতায় দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মান”প্রকল্পে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জমি আছে ঘর নেই (খ) শ্রেনীর ও জমি নেই ঘর নেই প্রকল্পের প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের (ক) শ্রেনীর হতদরিদ্র পরিবারের বরাদ্দকৃত সরকারি ঘর বিনামূল্যে সরকার দিলেও টাকা ছরা মেলে নিই হতদরিদ্রদের ঘর।ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কিছু ইউপি সদস্যর মত দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘর বানিজ্য করার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপোজেলার মৌরাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে। ২ নং ওয়ার্ডের হরিনাডাঙ্গা গ্রামের মো হোসেন মোল্লার ছেলে তিতাস মোল্লা জানান,আমার ঘর বাবদ তেমন টাকা লাগে নাই শুধু গারি ভারা জমি রেজিষ্ট্রেশনের জন্য চেয়ারম্যানকে ১০ হাজার টাকা দিছি।একই এলাকার জিয়া শেখের স্ত্রী সাবিনা জানান,সবকিছুর খরচ বাবদ চেয়ারম্যানকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি।একই ওয়ার্ডের জীবনালা গ্রামের আনসার মন্ডলের স্ত্রী বলেন,আমার ঘরের খরচ হয়েছে সবমিলে ৩০ হাজার টাকা।
এলাকাবাসীরা আর জানান, হাবিবুর রহমান প্রামানিক চেয়ারম্যান হয়েই অনেক দূর্ণীতি করেছে। আবার তিনি নৌকার মোননয়ন পেতে না পেতেই তার ছেলে বোমাবাজি করে বেড়াচ্ছে।চেয়ারম্যান হলে ঘরে মাথা দিতে পারবো কিনা জানিনা।এর মত লোক কি ভাবে নৌকার মাঝি হয় আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন দূরদর্শী লোক হয়ে এই হাবিবুর রহমানকে কিভাবে নৌকার মাঝি করেন উপরআল্লাহ্-তালাই জানেন!
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে নিবন্ধনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন সম্পন্ন ।