মোঃ আলমাস আলী॥ এক বিধবা মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদে বিচারে ইজ্জতের মূল্য ১০ কেজি রিলিফের চাল দিয়ে ধর্ষিতা বিধবাকে দিয়ে জোরপুর্বক আপোষ নামায় স্বাক্ষর রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বসন্তপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ আ’লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের খালিশা সোনাপুর গ্রামের বিধবা মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মৃত আমির শেখের ছেলে ইয়াকুব ওরফে ইকু শেখের বিরুদ্ধে।
থানায় অভিযোগসূত্রে জানা যায়, বিধবা মহিলাকে একা পেয়ে গভীর রাত্রে মহিলার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পরপর দুইদিন প্রতিবেশী ইয়াকুব শেখ তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণকারীকে আশ্রায়-প্রশ্রায় দাতা হিসেবে স্থানীয় আ’লীগ সভাপতিসহ এক চেয়ারম্যানের নাম উঠে আসে। তিনারা হলেন : বসন্তপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মান্নান মিয়া এবং ইউপি চেয়ারম্যান বাবু মির্জা। উক্ত চেয়ারম্যান এবং সভাপতি দীর্ঘদিন যাবত ওই মহিলার বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করে আসছে। তাদের ইশারায় বিগতদিনে মজিবুর নামক এক প্রতিবেশীকে তার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হয়। মজিবুর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মহিলা ধর্ষণের ঘটনায় মজিবুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণকারী মজিবুরকে রক্ষার্থে এই চক্রটি কুটকৌশল অবলম্বন করেন। ধর্ষণ মামলাটি মিমাংসা করা হয়েছে বলে মহিলাকে জানানো হয়। কৌশলে মহিলাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ধর্ষণ মামলার দায়ভার এই চক্রটি গ্রহন করেন। ধর্ষিত মহিলাকে রক্ষার পরিবর্তে উল্টো মামলাটি মিথ্যা মর্মে বাদিনীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগ পত্র আদালতে প্রেরন করানো হয়। এই চক্রটির রোষানলে পড়ে বাদিনী উক্ত মামলায় ছয় মাস জেল হাজতে খেটেছেন।
এই কুচক্রী মহলের সড়ষন্ত্রের শিকার এই বিধবা মহিলা সর্বশান্ত হয়েছেন। মহিলাকে এলাকা ছাড়া করার চক্রান্ত চলছে বলে ওই মহিলা জানায়। এই চক্রটি এখনো বিধবা মহিলার পিছু ছাড়েনী। ইদানিং ইয়াকুব শেখ নামক এক প্রতিবেশীকে ঐ মহিলার দিকে লিলিয়ে দেওয়া হয়েছে মর্মে অভিযোগে প্রকাশ। গত ১২/০৮/২১ এবং ১৩/০৮/২১ইং তারিখে পরপর দুই বার ঐ মহিলাকে ইয়াকুব শেখ ধর্ষণ করে। পরে ওই বিধবা নারী রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করতে যান। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ নারী আইনি সহযোগীতা পাবেন মর্মে আশ্রাস দেয়া হয়। কিন্ত মাতব্বরদের ভয়ে এলাকায় (মহিলার পক্ষে) পুলিশ কোন স্বাক্ষী খুজেঁ পায়নি । ওই মহিলাকে পুনরায় থানায় যাওয়ার সুযোগ না দিয়ে এলাকায় বিচার করা হবে বলে ঐ চক্রটি আশ্বাস প্রদান করেন। বিষয়টি নিয়ে গত ৩০/০৮/২১ইং তারিখে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু র্মিজা শালিসের ব্যবস্থা করেন। ধর্ষিতা মহিলা আবারো পূর্বের ন্যায় ষড়ষন্ত্রের শিকার হচ্ছে বুঝতে পেরে শালিসের বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্ত চেয়ারম্যান তার গ্রাম পুলিশ দিয়ে ওই মহিলাকে আটক রেখে জোরপূর্বক আপোষ নামায় স্বাক্ষর রাখেন। সঠিক বিচারের পরির্বতে ওই মহিলার বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যা অপবাদ চাপিয়ে দেওয়া হয়। ধর্ষিতাকে ১০ কেজি রিলিফের চাল দিয়ে বিদায় করা হয়।
এদিকে, মাতব্বরদের রোষানল থেকে মুক্তি পেতে ধর্ষিতা ইতোমধ্যে রাজবাড়ী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। শালিস অমান্য অতপর আদালতে মামলা করার কারনে প্রতিবেশী ধর্ষণকারী ইয়াকুব শেখ ওই মহিলাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন মর্মে ধর্ষিতা জানান।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।