ফরিদপুর র্যাবের জালে ধরা বিকাশ প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য
প্রকাশিত: ৩:১৭ অপরাহ্ণ ,২২ জুলাই, ২০২১ | আপডেট: ১:১৯ পূর্বাহ্ণ ,২৬ জুলাই, ২০২১
স্টাফ রিপোর্টার।। বিকাশ প্রতারক চক্রের ৩ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল।এ সময় আটককৃতদের হেফাজত হতে বিকাশ প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ৩২টি সীমকার্ড সহ ১০টি মোবাইল ফোন, ১টি রাউটার, ২টি পাওয়ার ব্যাংক এবং নগদ ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলো- মিয়া পাড়া, ফরিদপুর জেলার ভাংগা উপজেলার গ্রামের মোঃ মজিদ শেখের ছেলে মোঃ ঠান্ডু শেখ (২৯), মোঃ কালাম ফরাজীর ছেলে মোঃ অনিক (২১) ও থানমাত্তা গ্রামের মোঃ বাদশা শরিফের ছেলে মোঃ সাইফুর রহমান রিগার(২৪)।
ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানাধীন থানমাত্তা গ্রাম এলাকায় কিছু ব্যক্তি বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে জনসাধারনের নিকট হতে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প গোয়েন্দার মাধ্যমে অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা প্রাপ্তির পর, র্যাব-৮ সিপিসি-২ ফরিদপুর ক্যাম্পের স্কোয়াড অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে ১৪ জুলাই-২১ইং তারিখ স্বন্ধ্যায় ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানাধীন থানমাত্তা গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই বিকাশ প্রতারক চক্রকে আটক করে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন দুর্নীতি পরায়ণ মোবাইল সীম বিক্রেতার সাথে পরস্পর যোগসাজস করে ভূয়া নামে সীম কার্ড রেজিস্ট্রেশন ও উক্ত সীমকার্ড ব্যবহার করে অসাধু ডিএসআর (বিকাশ এ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত এ্যজেন্ট) গণের মাধ্যমে ভূয়া বিকাশ এ্যাকাউন্ট খোলে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা দুর্নীতিপরায়ণ ডিএসআর গণের নিকট থেকে অর্থের বিনিময়ে বিকাশ এ্যজেন্টদের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে ঐসব ভূয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত মোবাইল সীমকার্ড ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল সাধারণ জনগনের নিকট নিজেকে বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করে কৌশলে তাদের বিকাশ পিন কোড জেনে নেয় এবং স্মার্ট ফোনে বিকাশ এ্যাপস্ ব্যবহার করে উক্ত সাধারণ লোকজনের বিকাশ এ্যাকাউন্ট হতে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।
আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলমান আছে।