আজ : মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিজানপুর ইউপি চেয়ারম্যান কতৃক মহিলা ইউপি সদস্য লাঞ্চিত;নারী-পুরুষের বৈষম্য নিয়ে


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ ,৬ জুন, ২০১৮ | আপডেট: ৬:৫২ অপরাহ্ণ ,৬ জুন, ২০১৮
মিজানপুর ইউপি চেয়ারম্যান কতৃক মহিলা ইউপি সদস্য লাঞ্চিত;নারী-পুরুষের বৈষম্য নিয়ে

বিশেষ প্রতিনিধি।।ভিজিএফ এর চাল বিতরন কার্ড ইউপি চেয়ারম্যান কতৃক পুরষ ও মহিলা ইউপি সদস্যদের মধ্যে নয়-ছয় করে অনিয়মতান্ত্রীক ভাবে ভাগ-বাটোয়ারা করাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি নালিশী অভিযোগ করায় একই উইপির ৭,৮,৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মালেকা বেগমকে অফিস কক্ষে প্রকাশ্যে দিবালোকে জনতার সন্মুখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বেইজ্জিতি ও সন্মানহানি করে এবং মারপিটেরও হুমকি দিয়েছে রাজবাড়ী জেলা সদরের মিজানপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান।

এ বিষয়ে ৫/৬/১৮ইং তাং মঙ্গলবার দুপুরে মালেকা বেগম জনতার মেইল.কমকে বলেন, আসছে ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে আমাদের মিজানপুর ইউনিয়নের গরীব মানুষের জন্য ১০কেজী করে চাউল বিতরনের ২ হাজার ৬শত ভিজিএফ কার্ড এসেছে বলে চেয়ারম্যান জানান। এই ২হাজার ৬শত কার্ডের মধ্যে রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, সংরক্ষিত মহিলা এমপি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান=এদের জন্য নাকি ১ হাজার কার্ড রেখে দিয়ে আমাদের ইউপি পরিষদের জন্য দিয়েছে ১হাজার ৬শতটি কার্ড।
সেখান থেকে চেয়ারম্যান নিয়েছে ৪শত কার্ড ও প্রত্যেক পুরুষ সদস্যদের বরাদ্দ দিয়েছে ১৪০/১৫০টি করে কার্ড এবং প্রত্যেক মহিলা সদস্যদের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে মাত্র ৩৬টি ভিজিএফ কার্ড।

নারী-পুরুষের এই বৈষম্য-ব্যবধানানের প্রতিকার চেয়ে গত ২৪/৫/২০১৮ইং তারিখে রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি নালিশী অভিযোগ করায় চেয়ারম্যান সাহেব আমার উপরে মনখুন্ন হয়।

মালেকা বেগম আরো বলেন, এরপর গত ৩/৬/১৮ইং তারিখে রাজবাড়ী বাজারের মধ্যে থাকা আমাদের ইউপি অফিসে দুপুরের দিকে হত দরিদ্র কর্মসংস্থানের তালিকা আনতে যাই । সেখানে আমাদের মিজানপুর ইউপি সেক্রেটারী (সচিব) মস্তফা ভাইয়ের নিকট তালিকা চাইতেই চেয়ারম্যান আমার দিকে রক্ত চক্ষু করে রাগাম্বিত হয়ে বলে- এই মালেকা তুই এই অফিসে এসেছিস কিজন্যে ? তুই কোন তালিকা পাবিনা আর এখানেও আসবিনা, তোর কোন অধিকার নেই।

আমি মালেকা তখন বলেছি, আপনিও জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এখানে এসছেন আমিও জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এখানে এসেছি, আপনারও যে অধিকার আমারও সেই একই অধিকার, আসবোইতো। একথা বলায় চেয়ারম্যান আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে বেইজ্জতি ও সন্মানহানী করে, তখন সেক্রেটারীকে বলে মালেকার তালিকা এখনই ফেলেদাও।
আর তুই মালেকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিস তোর এতবড় সাহস, তুই সেখানে যা, দেখি আমার কি করতে পারে ? তুই যদি না যাস তোর কিন্তু বাঁশ দিয়ে পিটাতে পিটাতে অফিস থেকে বেড় করে দিব। এ ঘটনার বর্ননা দিতেই বুকফাটা কষ্টে কাঁদতে শুরু করেন ইউপি সদস্য মালেকা বেগম। একথা বলার সময় তার স্বামী মন্টু সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মিজানপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান কতৃক তার এ সন্মানহানী ও বেইজ্জতি ঘটনার জন্য সরকারের নিকট বিচারের দাবি জানান ইউপি সদস্য মালেকা বেগম। সেই সাথে শুধু কাগজ-কলমে নয় বাস্তবে নারী-পুরুষের এই বৈষম্য দুর করারও দাবি জানান তিনি।

এ ঘটনায়, পরিষদের সকল পুরুষ ইউপি সদস্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে উল্টো মালেকা বেগমকেই খারাপ বলছেন । তবে অন্যান্য প্রত্যাক্ষদর্শীরা ভয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন।
উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান হচ্ছে বিএপির নেতা ।

Comments

comments