পিরোজপুর সংবাদদাতা-জাহিদ হাসান।। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পিরোজপুরে যেখানে-সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা। এর মধ্যে বেশিরভাগই অবৈধ, নেই লাইসেন্স। এসব ভাটার আগুনে পুড়ছে উর্বর মাটি। ফলে নষ্ট হচ্ছে শতশত বিঘা ফসলি জমি। আবার কয়লার স্থলে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ইট ও মাটি ট্রাকে পরিবহনে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা-ঘাট। এছাড়া আবাদি জমি কমার পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ।
কচা নদীর তীর ঘেঁষে জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার চর খোলপটুয়া গ্রামটি। এ গ্রামে রয়েছে পাঁচটি ইটভাটা। যার একটিরও নেই লাইসেন্স। এসব ভাটায় ইট বানানোর জন্য মাটি সংগ্রহ করতে ফসলি জমিতে করা হয়েছে গভীর পুকুর।
খোলপটুয়া গ্রামের বাসিন্দা নূর হোসেন ও রাব্বি মোল্লা জানান- কোনো কোনো ভাটায় ইট পোড়ানোর জন্য কয়লার সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। এমনকি এ গ্রামের বেড়িবাঁধটিও ভাটার ইট পরিবহনের জন্য কেটে ফেলেছেন মালিকরা। এছাড়া কিছু কিছু ভাটায় শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। পাশাপাশি অন্য শ্রমিকদের শিকলে বেঁধে কাজ করানোর অভিযোগও রয়েছে। এভাবে অনিয়ন্ত্রিতভাবে আইন অমান্য করে ইটভাটা চলায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে ভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতেও সাহস করেন না।
এদিকে, খোলপটুয়া গ্রামের বেড়িবাঁধটি বন্যার সময় ভেঙে গেছে বলে দাবি ইটভাটার মালিকদের। আর বৈধভাবেই ভাটা স্থাপন করে ইট প্রস্তুত করা হচ্ছে বলেও জানান তারা। এ ব্যাপারে, পিরোজপুরের ডিসি আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান- জেলায় মোট ২৪টি বৈধ ইটভাটা রয়েছে। এছাড়া বাকি সব ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসব লাইসেন্স বিহীন ইট ভাটার মালিকদের তালিকা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।