রাজবাড়ী মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজীতে স্থানীয় সাংবাদিকের ভাগ
প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ণ ,৪ অক্টোবর, ২০২০ | আপডেট: ২:২৪ পূর্বাহ্ণ ,৬ অক্টোবর, ২০২০
মোঃ আলমাস আলী॥ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে কতিপয় স্থানীয় সাংবাদিকের যোগসাজসে ট্রাফিক পুলিশ মহাসড়কে প্রকাশ্যে ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে গাড়ির মালিক ও চালকরা। ভূক্তভোগীরা বলছেন, নিয়ম বর্হিভূত ভাবে সিরিয়াল ভঙ্গ করে এই চক্রটি মামলার ভয় দেখিয়ে ও কাগজপত্র দেখার নামে নিয়মিত প্রত্যেক মালবাহী ট্রাক থেকে ৫,০০ থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নিচ্ছে। এ ঘটনায় যানবাহনের মালিক ও চালকরা অসহায়ত্বেও কথা বললেও চাদাঁর বিষয়টি অস্বীকার করছেন ট্রাফিক পুলিশের টিআই মাসুদুর রহমান।
জানা যায়, দেশের দক্ষিন-পশ্চিমবঙ্গসহ ২১ জেলার প্রবেশদ্বারখ্যাত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে স্থাপিত হয়েছে একটি পুলিশ বক্স। গোয়ালন্দ মোড় থেকে দৌলতদিয়া ফেরীঘাট পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার এবং গোয়ালন্দ মোড় হইতে রাজবাড়ী অভিমূখে কল্যাণপুরের দিকে ১০ কিলোমিটার মহাসড়ক পর্যন্ত, বসন্তপুর মহাসড়ক থেকে বাইপাস সড়ক খানখানাপুর মহাসড়ক পযর্ন্ত তাদের কার্যপথ। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ৭শ থেকে ৮শত মালবাহি ট্রাক ও কাভার ভ্যান চলাচল করে। মহাসড়কে যানযট নিরসন, দূর্ঘটনা রোধ, নিরাপত্তা দেওয়া এবং মালবাহী ট্রাকগুলিকে সিরিয়াল অনুযায়ী ঘাট পারাপারে সহযোগীতা করা রাজবাড়ী ট্রাফিক পুলিশের প্রধান কাজ। কিন্ত তারা নিজেরাই চাদাঁবাজিতে বেশী ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। গোয়ালন্দ মোড়ের ট্রাফিক পুলিশের চাদাঁবাজি নীরবে সহ্য করে যাচ্ছে ট্রাক পরিবহনের মালিক, শ্রমিকরা। গোয়ালন্দঘাট পার হতে হলেই তাদেরকে চাদাঁবাজির শিকার হতে হয়। তারা দিন-রাত্র সমানতালে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হলেও ভয়ে মূখ খুলতে পারছে না মর্মে কয়েকজন উপস্থিত ড্রাইভার জানায়।
ড্রাইভারদের অভিযোগ- সন্ধ্যার পর সিরিয়াল আগে-পিছে করার নামে পুলিশের চাঁদাবাজী ভয়াবহ রূপ নেয়। মালবাহি ট্রাক, কাভার ভ্যান টাকা না দিলে রেহাই নেই। সিরিয়াল ভঙ্গ করে ফেরীঘাটে যাওয়া নিষিদ্ধ থাকলেও ঘুষের মাধ্যমে বক্সের পুলিশ চাঁদা নিয়ে আগে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।
ভূক্তভোগীরা আরো জানান, বসন্তপুর, আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার সামনে, পোট্রল পাম্পে, খানখানাপুর বড় ব্রীজ, গোয়ালন্দ মোড় পুলিশ বক্সের উত্তর পাশের চায়ের দোকানগুলোসহ কয়েকটি পয়েন্টে বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি হয়ে থাকে। অন্যদিকে কাগজপত্র বিহীন যানবাহনগুলোর নামে মামলা না দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাকিয়ে নেওয়া রুটিনে পরিণত হয়েছে। মূলতঃ গোয়ালন্দ মোড়ে পরিবহন যানজট নিরসন করার লক্ষ্যে পুলিশ সিরিয়ালের মাধ্যমে ট্রাক ও কাভারভ্যানগুলি নিয়ান্ত্রন করেন।
কিন্ত পুলিশকে ব্যবহার করে বেশ কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিক পরিবহন থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য সারারাত্র চায়ের দোকানগুলোতে ঘুরঘুর করতে দেখা যায়।
গাড়ীর মালিক রবিন বলেন- স্থানীয় ৫/৬ জন সাংবাদিক ট্রাক পাচিং দিয়ে অবৈধ টাকা কামানোর ধান্দা করেন। মঞ্জু ট্রাইভারের চায়ের দোকানে এই সাংবাদিকদের বেশী দেখা যায়। অতি জরুরী গোয়ালন্দ মোড়ের চাদাঁবাজী বন্ধের জন্য পুলিশ প্রশাসনের নিকট তিনি অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে টিআই মাসুদ বলেন, আমাদের পুলিশ কোন চাদাঁবাজির সঙ্গে জড়িত নয়।