আজ : সোমবার, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কে জানতো? সেদিনের সেই শিশুটিই হবে বাংলাদেশের নির্মাতা! হবে “বঙ্গবন্ধ”


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ ,১৭ মার্চ, ২০১৯ | আপডেট: ৯:৫৬ অপরাহ্ণ ,১৭ মার্চ, ২০১৯
কে জানতো? সেদিনের সেই শিশুটিই হবে বাংলাদেশের নির্মাতা! হবে “বঙ্গবন্ধ”

নিজস্ব প্রতিবেদক।।  অজ পাড়াগাঁয়ে জন্ম নেওয়া সেদিনের সেই ছোট্ট শিশুই হবে আজকের বাংলাদেশের নির্মাতা! হবে বঙ্গবন্ধু! তখন কে জানতো?

বলছি, ১৯২০ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলছে ভারতবর্ষ। আর তখনই, দক্ষিণ বাংলার গহিন অন্দরে, মধুমতি নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়া নামের অজানা গাঁয়ে শেখ বাড়িতে জন্ম নিলেন একটি শিশু। শিশুটির নাম রাখা হল মুজিবুর রহমান। তখন কে জানতো, সেই অজ পাড়াগাঁয়ে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে আগামী (বর্তমান) বাংলাদেশের নির্মাতা।

বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক গৌরব উজ্জ্বল কালান্তরের সূচনা করেছিলেন তিনি। দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে উঠেছিল তার হাত ধরেই। প্রথমে মাতৃভাষার দাবিতে যা পরবর্তী সময়ে রূপ নেয় মুক্তির আন্দোলনে। মানুষের অজস্র ভালবাসায় ধিরে ধিরে হয়ে উঠলেন মহান নেতা, পরবর্তিতে বাঙালির কাছে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’ নামেই পরিচিত। সেই অবিসংবাদিত নেতা বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজ ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস।

জাতি আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে তার মহানায়ককে। উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করবে তার শততম জন্মদিন। ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙিন’ প্রতিপাদ্যে দিবসটি দেশজুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে পারলেই আলোর পথে এগোবে বাংলাদেশ।

কিশোর শেখ মুজিব চোখ মেলে দেখলেন, নবগঠিত পাকিস্তান ভূখন্ডে কি গভীরভাবেই না অবহেলিত স্বদেশ, পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষ। তা অনুধাবনে সময় নেননি শেখ মুজিব। রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় তিনি পেরিয়েছেন ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ছয় দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আর সত্তুরের সাধারণ নির্বাচন। এর মধ্য দিয়েই সামনে আসলো ৭ই মার্চ ১৯৭১।

পাক জমিনে সাদ বাদের বিরুদ্ধে সোনার বাংলার চেতনা রোপিত করলেন বঙ্গবন্ধু। নিরীহ বাঙালিকে, সশস্ত্র যোদ্ধায় পরিনত করলেন। এর মধ্য দিয়েই বাঙালি অর্জন করলো হাজার বছরের কাঙ্খিত স্বাধীনতার স্বাদ। সেদিন প্রথম আনন্দে ভাসলেন বাঙলার মানুষ।

অপরদিকে, পাকিস্তানি বন্দী জীবন শেষে দেশ ফিরলেন রাজনীতির কবি-গুরু বঙ্গবন্ধু। দ্বিতীয়বার আবার আনন্দে ভাসলেন বাঙলার মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঙালির হাজার বছরের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা পূর্ণতা পেয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই।

এত কিছুর পরও এমন বন্ধুকে হত্যা করা হলো।ঘোর অমানিশা নেমে আসে বাংলার বুকে।বাংলাদের গৌরব উজ্বল ইতিহাসে রচয়িতা হলো এক কলঙ্কিত অধ্যায়।

Comments

comments